কৃষ্ণসাগরের সেই এলাকায় গবেষণাকাজ বাড়াচ্ছে তুরস্ক

কৃষ্ণসাগরের যেখানে গতবছর এ যাবতকালের বৃহত্তম গ্যাস অনুসন্ধানকাজ চালিয়েছিল তুরস্ক, সেখানে ভূমিকম্প গবেষণার পরিধি ও গতি বাড়াতে যাচ্ছে দেশটি। তুরস্কের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।

কৃষ্ণসাগরের সেই এলাকায় গবেষণাকাজ বাড়াচ্ছে তুরস্ক

মন্ত্রী ফাতিহ ডনমেজ সাংবাদিকদের জানান, পরিধি বাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুসন্ধানকাজ চালানো হবে। এলাকাটি তুরস্কের সমুদ্রসীমার মধ্যে এবং সেখানে এখনও ভূমিকম্প নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘থ্রিডি সিসমিক স্টাডি চলছে’।

দেশটি এখন পর্যন্ত এ অঞ্চলে নিজেদের এখতিয়ারভুক্ত ২৫০ কিলোমিটার অঞ্চলে ভূমিকম্প গবেষণাকাজ সম্পন্ন করেছে।

ডনমেজ উল্লেখ করেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোর একটিতে এ বছর কূপ খননের কাজ করা। আমরা যদি নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারি, ঘোষণা দিয়ে জানাব।’

গত বছর তুরস্কের প্রথম অনুসন্ধানী জাহাজ ‘ফাতিহ’ যেখানে এ যাবতকালের বৃহত্তম গ্যাস অনুসন্ধানকাজ চালিয়েছিল, সেখানেই এ অঞ্চল অবস্থিত।

কৃষ্ণসাগরের সেই এলাকায় গবেষণাকাজ বাড়াচ্ছে তুরস্ক

তুরস্কের কৃষ্ণসাগর উপকূলের ১০০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে অবস্থিত ‘সাকারিয়া’ গ্যাস ফিল্ডের ‘টুনা-১’ অবস্থানে ৪০৫ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস খুঁজে পেয়েছিল জাহাজটি।

ডনমেজ বলেন, এ গ্যাস অন্তত দুটি পাইপলাইনের মাধ্যমে উপকূলে আনা হবে। উত্তরাঞ্চলীয় জঙ্গুলদাক প্রদেশের ফিলইয়সে একটি অনশোর গ্যাস প্রসেসিং ফ্যাসিলিটির সঙ্গে পাইপলাইনগুলি সংযুক্ত হবে। উপকূলে গ্যাস আনার জন্য প্রকৌশল নিরীক্ষা চলছে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটির ট্রান্সমিশন সিস্টেমে এ গ্যাস সংযুক্ত করতে তুরস্ক বদ্ধপরিকর।

‘আমরা এখন উৎপাদনের জন্য গ্যাসফিল্ড প্রস্তুতের কাজ করছি। উপকূলে আনার পর এ গ্যাসের সেপারেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তলদেশ থেকে বালু, ময়েশ্চার ও পানির মতো উপাদান থাকার কারণে আমরা সরাসরি এর ব্যবহার করতে পারব না’, ব্যাখ্যা করেন ডনমেজ।

গ্যাস উপকূলে আনার জন্য দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, সাকারিয়া গ্যাসক্ষেত্রে আরও ৩০ থেকে ৪০টি কূপ খনন করব। উপকূলের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে, বিশেষ করে, টার্মিনাল এবং বাজেট প্রস্তুত রয়েছে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ