আরব লীগ ও তুরস্ক মুখোমুখি

মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে আরব লীগ ও তুরস্ক। মিশরের রাজধানী কায়রোতে বুধবার অনুষ্ঠিত আরব লীগের বৈঠকে সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তুরস্কের বিরুদ্ধে সোচ্চার আবুল ঘেইতকে পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক থেকে এ অঞ্চলে ‘তুরস্কের হস্তক্ষেপকে’ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে জানান মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরব লীগ ও তুরস্ক মুখোমুখি

এ প্রেক্ষাপটে আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তুরস্কের বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্তকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে শুক্রবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে আঙ্কারা।

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আরব দেশগুলোর ‘বন্ধু ও ভ্রাতৃসুলভ’ জনগণের কাছে তুরস্ককে টার্গেট করে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। লীগের কয়েকজন সদস্য ‘নিজেদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঢাকতে’ তুরস্কের বিরুদ্ধে এ-রকম অভিযোগ এনেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেখা গেছে, আরব লীগের কিছু সদস্য এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলোর বিরোধিতা করেছে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পরিচ্ছন্ন আলোচনা ছাড়াই এগুলো বিভিন্ন চক্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

আরব লীগ ও তুরস্ক মুখোমুখি

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তুরস্ক এমন কিছু দেশের মধ্যে একটি, যারা এ অঞ্চলে এবং পুরো বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অক্ষুণ্ন রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি হলো, আরব দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।’

‘ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে তুরস্ককে টার্গেট করার পরিবর্তে’ শান্তি, সমৃদ্ধি ও আরব জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দেওয়া এবং এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিবৃতিতে আরব লীগভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বুধবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠক করে লীগের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মিশরীয় কূটনীতিক আবুল ঘেইতকে পুনঃনিয়োগ দেন।

আরব বিশ্বের প্রভাবশালী আঞ্চলিক দুই শক্তি তুরস্ক ও ইরানের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার হিসেবে পরিচিত।

আরব নিউজের খবর অনুযায়ী বৈঠকে ঘেইত বলেন, ককেসাস এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তুরস্কের ভূমিকা ভালো ফল আনবে না।

তিনি বলেন, ‘তুরস্ক আঞ্চলিক ও পরাশক্তি দেশগুলোর সঙ্গে একাধিক মতবিরোধের মুখোমুখি, যা তার নেতৃত্বের জন্য খারাপ পরিণতি আনবে না।’

আরব লীগের বৈঠকে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি ঘোষণা করেন, বিভিন্ন আরব দেশে তুর্কি বাহিনী মোতায়েনসহ এ অঞ্চলে তুরস্কের হস্তক্ষেপকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছেন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

তিনি বলেন, তুরস্কের এ নীতি এ অঞ্চলে মেরুকরণ ও মতবিরোধকেই কেবল গভীর করবে।