বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ, ইতালিতে বন্ধ হচ্ছে দোকান, স্কুল

করোনভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কায় ইতালিতে বন্ধ হচ্ছে স্কুল, দোকান-পাট ও রেস্টুরেন্ট। প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি এর মধ্যেই দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

ইস্টারের সময়— ৩ থেকে পাঁচ এপ্রিল— তিন দিন ধরে চলবে পুরো লকডাউন।

এক বছর আগে ইতালি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা প্রথম দেশগুলোর একটি ছিলো। এখন আবার তারা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে।

ইতালিতে এক লাখের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জটিলতায় মারা গেছেন, যা ইউরোপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। তাদের চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে কেবল যুক্তরাজ্যে।

নানা কারণে ইতালির ভ্যাকসিন প্রয়োগ দেরি হচ্ছে। অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশেই ভ্যাকসিন সরবারহ বিলম্বিত হচ্ছে।

ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশের অবস্থা

পোল্যান্ডে শুক্রবার প্রায় ১৯০০০ নতুন সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। নভেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ সংক্রমণর ঘটনা।

জার্মানিতে স্কুল শিক্ষার্থীরা প্রচুর আক্রান্ত হচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরনের কারণে এমন হচ্ছে।

ফ্রান্সে আইসিইউতে রোগির সংখ্যা ৪০০০ ছাড়িয়ে গেছে। তিন মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। আঞ্চলিক কিছু লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।

স্লোভাকিয়া এবং চেক রিপাবলিক নন-ইউরোপীয়-ইউনিয়ন ভ্যাকসিন কিনে ঝামেলা পড়েছে।

ইতালির নতুন কড়াকড়ি কী?

সোমবার থেকে ইতালির অর্ধেকের বেশি অংশে দোকান, স্কুল ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ইতালির সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল রোম ও মিলানও আছে।

চাকরি, চিকিৎসা ও নিত্য-প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া নাগরিকদের বাসায় অবস্থান করতে হবে।

ইস্টারের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত কড়াকাড়ি আরোপ করা হবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইস্টার শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো দেশ উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি জানি যে এই কড়াকড়ি আপনার সন্তানের শিক্ষা, অর্থনীতি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলবে। কিন্তু আরো মারাত্মক পরিণতি থেকে বাঁচতে এই কড়াকড়ি জরুরি।”

গত ছয় সপ্তাহ ধরে ইতালিতে নতুন সংক্রমণ বাড়ছে। এখন প্রতিদিন ২৫০০০ -এর বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে।

গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ইতালিতে ৩০ লাখের বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন।