বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ২

ডানপন্থী ধর্মীয় এক নেতার গ্রেপ্তার ঘিরে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনে গুলি চালালে অন্তত দুজন নিহত এবং পুলিশসহ বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ডন অলনাইন।

বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ২

সোমবার (১২ এপ্রিল) তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান পার্টির (টিএলপি) প্রধান আল্লামা সা’দ হুসাইন রিজভীকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইসলাম নিয়ে কার্টুনের প্রতিবাদ জানিয়ে দেশটি থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি জানানোর এক দিন পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লাহোরে একটি শোক অনুষ্ঠান থেকে রিজভীকে গ্রেপ্তারের পরপরই তার সমর্থকরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তারা লাহোর, ইসলামাবাদ, পেশোয়ার ও গুজরাওয়ালার মতো প্রধান প্রধান শহরের মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে ফেলে। একইভাবে রেল যোগাযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই রিজভীর অনুসারীদের সরাতে চেষ্টা করলে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

হাইওয়ে ও মোটরওয়ে পুলিশ বলেছে, টিএলপি সমর্থকরা অন্তত মহাসড়কের ৫০টি স্থানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পাঞ্জাবের কাসুর ও নরোওয়ালের রেললাইনে অবস্থান নেন। গভীর রাত গড়িয়ে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।

বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ২

এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালাবাদ টিএলপির এক সমর্থক নিহত হয়। এ ঘটনার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধরা সহিংস হয়ে উঠে। করাচিতে বিক্ষোভে গুলি চালালে আরেকজনের মৃত্যু হয়।

করাচির পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজি গুলাম নবী মেমন বলেন, বিক্ষোভকারীরা নগরীর অন্তত ১০টি সড়কে অবস্থান নেন। প্রত্যেক অংশে ২০০ থেকে ৬০০ কর্মী রয়েছেন। পুলিশ তাদের সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাওয়ালপিন্ডি থেকে ৩৫ এবং চাকওয়াল ও গুজার থেকে ৪৯ টিএলপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে, টিএলপি সমর্থকরা মরে ও আজাদ কাশ্মিরে যাওয়ার প্রধান সড়কের ভারা কাহুতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।