আপনি পড়ছেন

মিয়ানমারে বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের দেশটির সামরিক কিংবা অং সাং সু চি কোনো সরকারের প্রতিই আনুগত্য নেই। ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থান এসব বিদ্রোহীদের শায়ত্তশাসনের অপ্রত্যাশিতভাবে সুযোগ করে দিয়েছে।

myanmar homeমিয়ানমারে বিদ্রোহীরা কেন জান্তার জন্য হুমকি

বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যুত্থান বিরোধী অবস্থান ঘোষণা করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এটিই তাদের মধ্যকার ঐক্য দৃঢ় করছে এবং তা এখন জান্তার টিকে থাকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী অং সাং সু চির কাছ থেকে ক্ষমতার দখল নিলে ১০ বছরের গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান হয় এবং তার পর থেকে দেশটিতে অস্থিরতা চলছে। বার্মা জাতিসত্তার বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীকে সু চি তার অধীনে নেওয়ার চেষ্টা করলেও তার প্রশাসন অনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে শত্রুতা জিইয়ে রাখে।

দীর্ঘদিন নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে না পারা গোষ্ঠীগুলো সু চির শায়ত্তশাসন বা নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানালে, নির্বাচনে সমর্থনের ভিত্তিতে তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তার দল এনএলডি, যা ক্ষমতা হারানোর পরও বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাসিত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী সিআরপিএইচ। কারেনি ন্যাশনাল প্রগেসিভ পার্টির (কেএনপিপি) খু ওহ রেহ বলেন, ‘বার্মার সংখ্যাগরিষ্ঠরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই গেছে, কখনো বাস্তবায়ন করেনি। এবারো হয়তো শুধু বলার জন্য বলেছে তারা।’

এনএলডি এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অবিশ্বাস করে এলেও জান্তা ক্ষমতা নেওয়ার পর তারা এর নিন্দা জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত অভ্যুত্থান বিরোধী সংঘর্ষে ৭ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এরপরও প্রত্যেক দিন দেশটিতে বিক্ষোভ চলছেই। কেএনপিপিসহ অন্তত তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারের পূর্বে জান্তা বিরোধী হাজারো মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। এখন বিদ্রোহীরা জান্তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছেন আন্দোলনকারীরা।

myanmar2মিয়ানমারে বিদ্রোহীরা কেন জান্তার জন্য হুমকি

‘দি হিডেন হিস্টরি অব বার্মা’ বইয়ের লেখক থান্ট মিন্ট-ইউ বলেন, ‘বর্তমান সংকট বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সামনে ফেডারেলিজমের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আসন্ন মাসগুলোতে তাদের কার্যকলাপ পরিস্থিতির মোড় বদলে দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাত থেকে আটটি সশস্ত্র শক্তিশালী নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী স্বাধীনতার পর থেকেই বঞ্চনার শিকার। তাদের অবস্থানের ওপর মিয়ানমারের ভবিষ্যত নির্ভর করছে।’

ইতিমধ্যে কারেন রাজ্যে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে। কারণ সেখানে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) অন্তত ২ হাজার বিক্ষোভকারীকে আশ্রয় দিলে, সেনাবাহিনী বিমান থেকে বোমা হামলা চালায়। এতে প্রায় ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কেএনইউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ অঞ্চলের এক মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বার্মার সংখ্যাগরিষ্ঠরা বিদ্রোহী নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে বিশ্বাস করে না। ফলে আস্থা অর্জনে অতীতের সরকার সংখ্যালঘু নৃতাতাত্ত্বিকদের সাথে যা করেছে, তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।’

কেএনইউর বৈদেশিক শাখার প্রধান প্যাডো স তও নি বলেন, ‘নির্বাসিত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ‘সিআরপিএইচ’র প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আমরা আশাবাদী। তবে সতর্ক রয়েছি। আমরা শুধুমাত্র তাদের সাথে যুগপৎ কাজ করব। আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এরপরও আমাদের উভয়ের সাধারণ শত্রুকে (জান্তা) উৎখাতের একটি পথ আমরা খুঁজে পাব।’

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.