আপনি পড়ছেন

দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। যে নির্বাচনে ঐকমত্যের ভিত্তিতে অংশ নেওয়ার কথা হামাস ও ফাতাহর। এ নিয়ে হাজারো কষ্টের মাঝে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস কাজ করছিল। বিশেষ করে তুরুণ সমাজ এই নির্বাচন নিয়ে খুবই উৎফুল্ল ছিল, কারণ তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নেতা নির্বাচনের সুযোগ পাবেন বলে।

mahmud abbas palaestine president

কিন্তু পূর্ব জেরুজালেমকে ইস্যু করে আজ শুক্রবার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, পূর্ব জেরুজালেমে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যতক্ষণ না ইসরায়েলের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি পাওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত থাকবে।

নিজ দল ফাতাহর একটি অংশের বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার সময় আব্বাস বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে পূর্ব জেরুজালেমে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ইসরায়েলকে রাজি করাতে তারা ভূমিকা রাখে। কিন্তু যেহেতু এখনো ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি, তাই নির্বাচন নিয়ে সামনে আগানো যাবে না।

তবে আব্বাসের এই ঘোষণার পর ইসরায়েলি চ্যানেল-১২ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, তিনি আসলে নিজের তথা দলের পরাজয় বুঝতে পেরে নির্বাচন স্থগিত করে এর দায় তেলআবিবের ওপর চাপাতে চাচ্ছেন।

চ্যানেলটি বলছে, ‘‘আবু মাজেন (আব্বাস) নির্বাচন বাতিলের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করার চেষ্টা করছেন, যদিও সেটা তাদের সরকারি কোনো অবস্থান নয়, এবং শুধু জেরুজালেমের ‘বাসিন্দাদের মৌখিকভাবে নির্বাচন বর্জনের’ ঘোষণার ভিত্তিতে।’’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘‘আবু মাজেন খুব ভালো করেই জানেন যে, এই নির্বাচন ফাতাহর (তার দল) জন্য রাজনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হবে, তিনি অনুমান করতে পেরেছেন যে তার ফাতাহ আন্দোলন জয়ী হবে না। আর এ কারণে তিনি তার সহকারী (বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রী) হুসেইন আল-শেখকে কাতারে (জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান) এবং মাজেদ ফারাজকে মিশর পাঠিয়েছেন যাতে তারা (দেশ দুটি) হামাসের ওপর চাপ তৈরি করে যেন বিষয়টি (নির্বাচন) নিয়ে আর অগ্রসর না হয়।’’

মিডেল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন বলছে, চ্যানেল-১২ এর সামরিক প্রতিবেদক বলেছেন, এই নির্বাচনে হামাসের জয় পশ্চিম তীরে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে, যা হবে ইসরায়েলের জন্য বিপর্যয়কর।

plaestine election hamas

প্রসঙ্গত, ইহুদি রাষ্ট্র সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং সম্প্রতি তারা একে তাদের রাজধানী ঘোষণা করে। অন্যদিকে, পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আসছে ফিলিস্তিনিরা।

উল্লেখ্য, আগামী ২২ মে ফিলিস্তিনে সাংবিধানিক এবং ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

অভিযোগ উঠেছে, আব্বাসের ধর্মনিরপেক্ষ (সেক্যুলার) পার্টি ফাতাহর পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন জেরুজালেম ইস্যুকে নির্বাচন স্থগিতের কারণ হিসেবে ব্যবহার করছেন আব্বাস। কারণ ইতোমধ্যে তার দলই তিনটি অংশে বিভক্ত হয়েছে। এর একটি অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের ভাতিজা নাসের আল-কিদওয়া এবং অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফাতাহর সাবেক নিরাপত্তা প্রধান মোহম্মাদ দাহলান।

ফাতাহর এই তিনটি অংশ আলাদাভাবে নির্বাচন করায় পশ্চিম তীরে হামাসের জয়ী হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেড়ে গেছে। আর গাজা তো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেই ২০০৭ সাল থেকেই।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.