আপনি পড়ছেন

চিরবৈরী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গোপন এক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়। নেপথ্যে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজপরিবার। আমিরাতের শাসন ক্ষমতার মূলে থাকা শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এক্ষেত্রে অধিকতর ইতিবাচক আন্তর্জাতিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

pak india 1

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রয়েছে ঐতিহাসিক বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক। এজন্য ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি সম্মান দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারত ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানরা। আমিরাতে দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিরল হলেও অন্তত পাঁচ দফা গোপন বৈঠকে এই চুক্তির প্রতি সম্মান দেখান। এরপর আমিরাতের একজন শীর্ষ কূটনীতিক নয়াদিল্লি সফর করেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে গোপন এ আলোচনা শুরুর পর চার মাস পার হয়েছে। বিতর্কিত কাশ্মির ইস্যুতে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তান ভারতের জরুরি পদক্ষেপের একটি সূচি প্রথমবারের মতো উল্লেখ করে। বিপরীতে ভারতও তাদের অবস্থান জানায়, যেটি পাকিস্তানের পত্রিকা ডন প্রকাশ করেছে। কিন্তু, এরপর আর আলোচনা এগোয়নি। এতে দীর্ঘদিনের বৈরীতা অবসানের যে প্রত্যাশা জেগেছিল, পেছনের আলোচনা এখন ব্যর্থ হতে চলেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ডন বলছে, উভয় দেশের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, আমিরাতের উদ্যোগে বৈঠকগুলোতে ‘আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা’ হয়েছে। এরপর আর দুদেশ আলোচনা এগিয়ে নিতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বলা চলে বর্তমানে এ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে গেছে।

আলোচনা প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা জানান, শান্তি আলোচনা সামনে নিতে হলে ভারতকে কিছু করে দেখাতে হবে। কারণ, বল এখন তাদের কোর্টে। গোপন আলোচনা প্রকাশ্যে আনতে হলে দেশটিকে পরিবেশ তৈরির বিষয়ে শুধু বলে নয়, করেও দেখাতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় দিল্লি একেবারে চুপ।

pak india 2

পাকিস্তান বিশ্বাস করে, একটি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তাদের পক্ষে যা করার, তারা তা করেছে। এখন ভারতকেই এ বিষয়ে সাড়া দিতে হবে। মূলত কাশ্মির ইস্যুতেই পাকিস্তান ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হতে চাইছে।

তবে এ প্রক্রিয়ায় জড়িত ভারতের এক কর্মকর্তা জানান, তাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি সমন্বয় করছেন। কিন্তু পাকিস্তানি কর্মকর্তারা ধরেই নিয়েছেন, ইস্যুটিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। বাস্তবতা হলো, এই পর্যায়ে ভারতের চিন্তা পাকিস্তানের চেয়েও সংকীর্ণ। ভারত এখনো সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধে পাকিস্তানের আশ্বাস পায়নি। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। সত্যিকার অর্থে আলোচনাকে গঠনতান্ত্রিক রূপ দিতে হলে পাকিস্তানকে তার রাজনৈতিক দলগুলোসহ সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের আস্থায় নিয়েছে, তা প্রমাণ করতে হবে।

ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থায় আলোচনার প্রত্যাশাগুলো হতাশায় রূপ নিয়েছে। অবশ্য কর্মকর্তারা যুক্তি দিবেন, সীমান্তরেখায় পাকিস্তান তার কথা রেখেছে এবং ভারতও এটি জানে। কিন্তু এটাও সত্য, করোনায় বিপর্যস্ত ভারত। ইসলামাবাদ সহায়তার প্রস্তাব দিলেও দিল্লি তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। এটিই বলে দিচ্ছে, আলোচনা নিয়ে দুদেশ কতটা আগ্রহী! যদিও ইসলামাবাদ এখন অপেক্ষা করে দেখেশুনে চলার নীতি নিয়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.