আপনি পড়ছেন

চীনের বাধ্যতামূলক নীতির কারণে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল শিনজিয়াংয়ের উইঘুরসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার ব্যাপকহারে কমে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের (এএসপিআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করে বলা হয়েছে, বিষয়টি গণহত্যার প্রমাণ হিসেবেও যোগ হতে পারে।

is china reducing the birth rate

এএসপিআইয়ের প্রতিবেদনটিতে চীনের সরকারি উপাত্ত উদ্বৃত্তি দিয়ে বলা হয়, ‘২০১৭ সালের পর থেকে শিনজিয়াংয়ে জন্মহারে অভূতপূর্ব ও বিস্ময়কর পতন দেখা যাচ্ছে।’ অভিযোগ রয়েছে, এ সময় থেকেই অঞ্চলটিতে জন্মহার নিয়ন্ত্রনমূলক প্রচারণা শুরু করে চীন।

শিনজিয়াংয়ে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে জন্মহার অর্ধেকে নেমেছে। যেসব অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আধিক্য ছিলো সেখানে জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ৯০ শতাংশ বা এরও বেশি আদিবাসী জনসংখ্যা রয়েছে এমন অঞ্চলগুলোতে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের জন্মহার গড়ে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।

যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করে সন্তান জন্মদানে নিরুৎসাহিত করা হতো তারমধ্যে জরিমানা, আটক অথবা আটকের হুমকি উল্লেখযোগ্য।

যদিও চীনের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে জন্মহারে এই পরিবর্তন উন্নত স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক নীতি সংশ্লিষ্ট। পাশাপাশি গণহত্যার অভিযোগও অস্বীকার করেছে দেশটি।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিইং এএসপিআইয়ের প্রতিবেদন সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখানে উল্লেখিত তথ্য বানোয়াট ও বিকৃত।’

তিনি দাবি করে বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের জন্মহার হ্যান সম্প্রদায়ের চেয়েও দ্রুতগতিতে বেড়েছে। শিনজিয়াংয়ে গৃহীত জন্মনিয়ন্ত্রন নীতি কোন একক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করে গৃহীত হয়নি।

এএসপিআইয়ের বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনটি চীনের সরকারি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে; যেখানে মার্চে প্রকাশিত আঞ্চলিক জনসংখ্যাগত তথ্যও রয়েছে। প্রতিবেদনটিতে তৈরিতে যারা যুক্ত তারা বলছেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণ পূর্ববর্তী কাজের ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়েছে এবং এসব তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে শিনজিয়াংয়ে গণহত্যা সম্পাদিত হয়েছে।’

শিনজিয়াংয়ে বেইজিংয়ের কর্মকাণ্ড গণহত্যা সংশ্লিষ্ট কিনা সে বিষয়ে তদন্তের জন্য অনেক পশ্চিমা দেশই আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.