অথচ সেই তিন মুসলিম দেশের সাথে সম্পর্ক গড়তে চায় ইসরায়েল

সাম্প্রতিক যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। অথচ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিনটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়তে চায় তেল আবিব।

সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আলোচনার জন্য আমরা (ইসরায়েল) সব সময় প্রস্তুত আছি। আলোচনার দরজা উন্মুক্ত আছে। সুসম্পর্ক স্থাপনের পথ খুব একটা কঠিন হবে বলে আমি মনে করি না।

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে ইহুদি-বিদ্বেষী সংগঠন উল্লেখ করে সাক্ষাৎকারে সাগি কারনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় যারা তর্কে অংশ নিচ্ছেন, আমি ঠিক জানি না- তারা হামাসের চরমপন্থী আচরণ ও ফ্যাসিস্ট দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আসলেই কতটুকু জানেন।

ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইয়ের নেতারা

প্রসঙ্গত, গত ১০ মে থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ মিশরের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ২১ মে মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলাকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। একই সঙ্গে দেশগুলো হামলা বন্ধে জাতিসংঘের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করে।

উপরন্তু দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক বা অন্য সম্পর্ক নেই। বরং এসব দেশ বরাবরের মতো মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র (ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল) সমাধানের পক্ষেই তাদের অবস্থানের কথা জানিয়ে আসছে।

প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো। ওই সময় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে বলে খবর বের হয়। তবে এ ধরনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয় দেশগুলো।