ট্রাম্পের বিপক্ষে রিপাবলিক্যানদের ‘খোলা চিঠি’

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যই নন। কারণ তার মৌলিক জ্ঞান বলতে কিছুই নেই। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আমেরিকার সাধারণ মূল্যবোধ বাধাপ্রাপ্ত হবে এবং তাকে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সেটা আমেরিকার জন্য ধ্বাংসাত্মক সিদ্ধান্ত হবে। এমন কিছু ব্যাপার সামনে এনে ‘খোলা চিঠিতে’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে রিপাবলিক্যানরা।

এই তৎপরতার উদ্যোক্তা ৫০ জন রিপাবলিক্যান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। তারা একটি খোলা চিঠি লিখে তাতে বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষরও সংগ্রহ করছেন। সেই খোলা চিঠিতে বলা আছে যে, স্বাক্ষরকারীরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিবেন না।

খোলা চিঠিতে নাগরিকদের সতর্ক করে বলে দেয়া হয়েছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে, তিনিই হবেন আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেপরোয়া এবং ভয়ঙ্কর প্রেসিডেন্ট। দিন কয়েক আগে, ডোনাল্ড রাশিয়াকে তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল হ্যাক করার জন্য উসকানি দেন। এরপরই রিপাবলিক্যানরা এই খোলা চিঠি নিয়ে নামলো। মনে করা হচ্ছে, নভেম্বরের নির্বাচনে এই খোলা চিঠির উদ্যোগ বড় একটা প্রভাব ফেলবে।

একই ধরনের তৎপরতার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো গত মার্চ মাসেও। কিন্তু তখন উদ্যোক্তারা তেমন একটা সাড়া পাননি। তবে এবার বদলে গেছে দৃশ্যপট। এবার এমন অনেকেই স্বাক্ষর করছেন, যারা গত মার্চে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছিলেন।

এদিকে ডোনাল্ড বলছেন যে, ওয়াশিংটনে যারা নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, এটা তাদেরই উদ্যোগ। তার দাবি, এদের মতো লোকের কারণেই পৃথিবীটা ভয়ানক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি আমেরিকানের উচিত ব্যাপারটি ভেবে দেখা। এক বিবৃতিতে তার বিপক্ষে তৎপরদের ‘ধন্যবাদ’ও জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার যে অবস্থান এবং মূল্যবোধ, ডোনাল্ড সেটা দুর্বল করে দিচ্ছেন। আমেরিকার সংবিধান, আইন, প্রাতিষ্ঠানিকতা, ধর্মীয় সহনশীলতা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাধারণ জ্ঞান এবং বিশ্বাস খুবই কম। তার আচার আচরণে সেটাই বোঝা যায়।

ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন ‘বিশিষ্ট আমেরিকান’ খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে আছেন জন নেগরোপন্ট, তিনি আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্টেলিজিন্সের প্রথম পরিচালক। পরে তিনি রাষ্ট্রের ডিপুটি সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক দুই সচিব টম রিডগে এবং মাইকেল চেরটফও স্বাক্ষার করেছেন রিপাবলিক্যানদের উদ্যোগে। ধারণা করা হচ্ছে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তিদের স্বাক্ষর সাধারণ আমেরিকানদের প্রভাবিত করবে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

‘রাঁধতে না জানা নারীকে বিয়ে করো না’

পাকিস্তানে বোমা হামলার দায় স্বীকার আইএসের

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চান এরদোগান

পাকিস্তানে হামলা: চিরুনি অভিযানের নির্দেশ

ট্রাম্পের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইভান ম্যাকমুলিন