আপনি পড়ছেন

ইউরোপ এখন জোনোফোবিয়ায় (বিদেশি সম্পর্কে অহেতুক ভয়) আক্রান্ত। মহাদেশটির দেশগুলোতে বিদেশি নাগরিকরা নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে তাদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। বিষয়টি দিন দিন উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউরোপে যা হচ্ছে তা বর্ণবাদকে উস্কে দিচ্ছে্। দ্য ডন।

europe with xenophobia

যদিও ইউরোপের দেশগুলো বহু বছর ধরে ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে আলাদা করে মূল্যায়ন করছে। পাশাপাশি জনগণ যাতে তাদের বিশ্বাস নিয়ে বাস করতে পারে সেটাও নিশ্চিত করছে। কিন্তু কয়েক বছরে বহু ঘটনা ঘটেছে যেখানে মানুষের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু আইনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

সর্বশেষ ধর্মীয় সহনশীলতার বিরুদ্ধে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ আদালত একটি রায় দিয়েছে। রায়ে কর্মক্ষেত্রে বিদেশি কর্মীদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার পক্ষে বলা হয়েছে। তারা বলছে, কর্মক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার প্রমাণ হিসেবে বিদেশি করমীদের হিজাব ত্যাগ করতে হবে।

আইনজীবীরা বলছেন, ওই রায়ে একজন নাগরিকের সাধারণ চাহিদাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বে ভুল বার্তা যাবে, বিশেষ করে যখন রক্ষণশীল গ্রুপ ইউরোপজুড়ে সক্রিয়। ইউরোপের ধর্মনিরপেক্ষতা শক্তিশালী করার পরিবর্তে রায়টি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিভাজনে জ্বালানি যোগাবে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এ রায় বর্ণবাদকে উস্কে দেবে। এটা বর্ণবাদকে বৈধতা দেওয়ার একটা চেষ্টা।

ইউরোপে শুধু মুসলিমদের ক্ষেত্রেই এমন জেনোফোবিয়া কাজ করে না। এখানে ইহুদিরাও তাদের মাথায় ধর্মীয় হেডগিয়ার পড়ার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। বেলজিয়ামে এক আদালত হেডগিয়ারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল। জবাই করা প্রাণীর মাংসও তারা নিষিদ্ধ করেছিল, যা মুসলিম ও ইহুদি উভয় ধর্মের বিধির ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক।

প্রকৃতপক্ষে ইউরোপের অনেক দেশে এখন রক্ষণশীল দক্ষিণপন্থীরা শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তারা পরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আচার-আচরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তাদের টার্গেট অভিবাসীরা বিশেষ করে অশেতাঙ্গ গোষ্ঠী যারা ইউরোপীয় নয়। যেমন নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে শুধু এজন্য যে, তা পরলে সহজে কাউকে চেনা যায় না।

কর্মক্ষেত্রে একজন নারী হিজাব পরতে পারবে না এটা কি ধরনের স্বাধীনতা হতে পারে। কিংবা কেউ কোন মাংস খাবে কি খাবে না সেটাও কি নিষেধাজ্ঞার বিষয় হল? ইউরোপকে সবার সমান অধিকার দিতে হবে, অথবা স্বীকার করতে হবে এটা সমান অধিকারের অঞ্চল নয়।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.