আফগান পরিস্থিতি: প্রথমবারের মতো ভারতে আসছেন ব্লিঙ্কেন

প্রথমবারের মতো ২৮ জুলাই ভারতে পা দিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তার এই সফরে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি ডিন থমসন। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান তাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করুক তা সবসময় চায় যুক্তরাষ্ট্র। ওদিকে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসছে বাইডেন প্রশাসন। উপলক্ষ্য একটাই, তা হলো ‘আফগান পরিস্থিতি’।

২৬-২৯ জুলাই ভারত ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ সফর করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সফরে তিনি দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচের কয়েকটি দেশেও যাবেন। এ বিষয়ে ডিন থমসন বলেন, ব্লিঙ্কেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আফগান পলিসিসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। কাবুল সফরের পরিকল্পনাও ছিল ব্লিঙ্কেনের। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তা হচ্ছে না। দ্য ডন। 

২৮ জুলাই নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়সঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মোদির সঙ্গে তিনি আফগানে ভারতের পলিসি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়েও মোদির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে থমসন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ভারত-পাকিস্তান তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যাতে সুসম্পর্ক বজায় রাখে সে চেষ্টা সব সময় করবে যুক্তরাষ্ট্র। ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ ঘিরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি দু'দেশ নবায়ন করেছে। এতে আমরা ভীষণ খুশি। আমরা আশা করি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে তারা ঐককত্য গড়ে তুলবে। ভারত-পাকিস্তান ২০০৩ সালে ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন করে।

থমসন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে আফগানিস্তানে শিগগির শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক তা আমরা চাই। তিনি বলেন, ভারত সফরে নিজেদের লক্ষ্য পূরণে দুদেশ কিভাবে কাজ করবে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আফগানিস্তানে যুদ্ধ থামাতে কি কি করা দরকার, তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কিভাবে কার্যকর করা যায় আলোচনায় সেসব বিষয়ও থাকবে।

অবশ্য খুব শিগগির পাকিস্তান সফরের কোনো পরিকল্পনা নেই ব্লিঙ্কেনের। তবে আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফ এবং আইএসআই এর ডিজি লে. জেনারেল ফয়েজ হামিদকে বৈঠকে ডেকেছে বাইডেন প্রশাসন। বৈঠকে দু'দেশের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

ওয়াশিংটনের কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মতাদের সঙ্গে বৈঠকে আফগানিস্তানের বিষয়ে আলোচনা হবে। আফগানিস্তানের নতুন সরকার গঠন যাতে শান্তিপূর্ণ হতে পারে সেজন্য পাকিস্তানকে ভূমিকার রাখতে আহ্বান জানাতে পারে ওয়াশিংটন। ওয়াশিংটনে মঈদ ইউসুফের সঙ্গে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের এটি দ্বিতীয় বৈঠক হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছিলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।