তুর্কি ড্রোন কিনতে লাইন দিচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো

গত তিন তিনটি যুদ্ধে কার্যকরী প্রমাণিত হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো এখন তুরস্কের তৈরি ড্রোন কিনতে লাইন ধরছে। সাম্প্রতিক বাজার বিশ্লেষণ করে মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

তুরস্কের একটি ড্রোন প্রদর্শনী কেন্দ্র

গত সোমবার প্রকাশিত ‘সস্তা ও পরীক্ষিত : তুর্কি ড্রোনের বর্ধমান বাজার’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সিরিয়া, লিবিয়া ও কারাবাখে জয়লাভের পর আঙ্কারার এ যুদ্ধ-ড্রোনের বাজার কিভাবে বিস্তার লাভ করবে।

এতে বলা হয়েছে, তুরস্কে স্থানীয়ভাবে নির্মিত বৈরাখতার টিবিটু সশস্ত্র ড্রোন গত বছরের যুদ্ধে কার্যকরী প্রভাব রাখায় তার বেশ কিছু নতুন ক্রেতা তৈরি হয়েছে। আঙ্কারা ইতোমধ্যেই ইউরোপে তার ড্রোন রপ্তানি শুরু করেছে। পোল্যান্ড অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইলের সাথে ২৪টি ড্রোন অর্ডার করছে। ইউক্রেনও এ ড্রোন কেনার অর্ডার দিয়েছে। এছাড়া লাটভিয়া ও আলবেনিয়াও তুরস্কের ব্যয়সাশ্রয়ী এ ড্রোন কেনার ইঙ্গিত দিয়েছে।

উড্ডয়নে প্রস্তত একটি ড্রোন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে, তুরস্ক খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের এই সাশ্রয়ী ড্রোনের বড় বাজার তৈরি করতে পারবে। বিশেষ করে যেসব দেশ দামি ড্রোন কিনতে সক্ষম নয় অথচ আধুনিক সময়ের যুদ্ধে ড্রোনের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব সম্পর্কে জ্ঞাত সেসব দেশে এ ড্রোনের বাজার তৈরি করতে পারবে।

বর্তমানে প্রতিটি ড্রোন তৈরিতে ইংল্যান্ডের খরচ পড়ে ২ কোটি ডলারের ওপর। সেখানে তুর্কি ড্রোনের পেছনে অনেক কম। মাত্র ১০-২০ লাখ ডলার ব্যয়ে তৈরি করা হয় তুর্কি ড্রোন।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের উদ্ধৃতি দিয়ে কয়েকদিন আগে দ্য গার্ডিয়ানের এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, অন্য দেশগুলো বর্তমানে কিভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেটি দেখার জন্য তুরস্কের টিবিটু ড্রোন একটি কার্যকরী উদাহরণ।

তুরস্কের এ পথে হাঁটতে চাইছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীও। তারা সাশ্রয়ী ও অধিক কার্যকরী সশস্ত্র ড্রোন নির্মাণের প্রকল্প নিতে চলেছে।

উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েকটি লড়াইয়ে তুরস্ক নিজেদের তৈরি ড্রোন তৈরি করে ব্যাপক সফলতা লাভ করে। বিশেষ করে কারাবাখে তাদের সাফল্যের অন্যতম দাবিদার ছিল এই ড্রোন। বিষয়টি পুরো বিশ্বের সামরিক বিশেষজ্ঞদের নজর কাড়ে। ফলে এক্ষেত্রে বড় ধরনের বাজার পেতে যাচ্ছে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।