বারাদার: তালেবানে দ্বন্দ্বের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা

সরকার গঠন নিয়ে তালেবানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে, বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় গতকাল বুধবার। এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে সেই খবরের নিন্দা জানিয়েছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আফগানিস্তানের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল ঘানি বারাদার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

আবদুল ঘানি বারাদার

তালেবানে দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশের দিনেই আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আরটিএ’কে ওই সাক্ষাৎকার দেন বারাদার। সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ টুইটারে প্রকাশ করা হয় কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে। ভিডিওতে আবদুল ঘানি বারাদারকে একটি সোফায় বসে থাকতে দেখা যায়।

বারাদার বলেন, সংবাদমাধ্যমগুলো তালেবানের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা প্রচার করেছে। আসলে এমন কিছুর অস্তিত্ব নেই। যে দ্বন্দ্বের কথা বলা হচ্ছে, তা সত্য নয়। তালেবানের ঐক্য নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আশাকরি সংবাদমাধ্যম তার দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হবে।

তালেবানের পতাকা

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল ঘানি বারাদার এবং শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী খলিল উর রহমান হাক্কানির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। দিনকয়েক আগে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সেখানে থাকা দুজনের অনুসারীরাও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

খলিল উর রহমান হাক্কানি আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠি হাক্কানি নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অন্যদিকে কূটনৈতিকভাবে তালেবানকে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বারাদারের। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে দোহা চুক্তি হয়েছিল, সেখানেও স্বাক্ষর করেছেন বারাদার। চুক্তির সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একাধিকবার বারাদারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

যুদ্ধের ময়দানে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন খলিল উর রহমান হাক্কানি অন্যদিকে কূটনৈতিকভাবে বড় ভূমিকা বারাদারের। তালেবানের বিজয়ে কৃতিত্ব কার হবে, সেটা নিয়ে দ্বন্দ্বের উৎপত্তি। খলিল উর রহমান হাক্কানি বলছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। অন্যদিকে বারাদার বলছেন, কূটনৈতিকভাবে যারা তালেবানকে এগিয়ে নিয়েছেন, কৃতিত্ব তাদের।