তালেবানের পতাকা নিয়ে যা ঘটল পাকিস্তানে

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বহুল পরিচিত লাল মসজিদ সংলগ্ন জামিয়া হাফসা মাদ্রাসা থেকে আফগানিস্তানের ইসলামী আমিরাতের অনুরূপ পতাকাগুলোকে সরিয়ে ফেলেছে পুলিশ। ইসলামাবাদের জি-৭/৩ এলাকায় মাদ্রাসাটি অবস্থিত।

কাবুলের একটি সুউচ্চ ভবনে তালেবানের পতাকা

মাদ্রাসাটির ছাদে তালেবানের অনুরূপ পতাকা উড়তে দেখা যাচ্ছিল। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। তবে পুলিশ জামেয়া হাফসার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি বলে খবরে বলা হচ্ছে।

পাকিস্তানের দ্য ন্যাশনাল নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের কাছে খবর আসে জামিয়া হাফসার ছাদে আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাতের অনুরূপ পতাকা উড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে কেউ খবরটি পৌঁছে দেয়। এর পরই পুলিশ অ্যাকশন শুরু করে।

পাকিস্তানের মাদ্রাসায় তালেবানের পতাকা

পুলিশের সঙ্গে পতাকা সরানোর অভিযানে অংশ নেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সেক্রেটারিয়েট রানা মুসা। তারা দ্রুত ছুটে যান জামিয়া হাফসায়। সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পতাকাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে নেন জামিয়া হাফসার তত্ত্বাবধায়ক।

ইসলামাবাদ সিটি জোন পুলিশের সুপার রানা আবদুল ওয়াহাব নিশ্চিত হন যে, জামিয়া হাফসার ছাদে আফগানিস্তান তথা তালেবানের পতাকা উড়ছে। এরপর ঘটনার সততা পেয়ে তাৎক্ষণিক সেগুলো সরানোর ব্যবস্থা নেন।

জামিয়া হাফসার বরাত দিয়ে এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলছেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তালেবানের বিজয় উদযাপন উপলক্ষে কিছু সময়ের জন্য পতাকা উড়িয়েছে। এ নিয়ে তাদের অন্য কোনো এজেন্ডা ছিল না। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে পতাকাগুলো সরিয়ে ফেলেছি। কারণ এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার ভয় ছিল। তবে তাৎক্ষণিক কোনো আইনি ব্যবস্থা জামিয়া হাফসার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি।

খবরে বলা হয়, কাবুল দখলের পর ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিজয় উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায়। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আগেই পতাকাগুলা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কূটনৈতিকভাবেও তালেবানের বিজয়ে পাকিস্তান খুশি এ কথা ওপেন সিক্রেট। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তালেবানের বিজয়ের পর তাদের প্রশংসা করেছেন এবং তালেবান সরকার গঠনের সময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসাও করেছেন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য। এখন দেশটি বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও তালেবান সরকারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাচ্ছে।