অবশেষে ইরানের সঙ্গে বরফ গলার কথা জানাল সৌদি

ইরানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক’ সংলাপ চলছে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান। যুক্তরাজ্যের ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দেশ দু’টির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলে আসছে।

সৌদি আরব ও ইরানের পতাকা

পরস্পরের দৃষ্টিভঙ্গি জানার জন্য সংলাপ চলছে উল্লেখ করে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান আলোচনার ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক রিয়াদ। মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক, সেটাই চাই আমরা। এ জন্য তেহরানের সঙ্গে সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করতে চাই।

এর আগে সৌদির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনায় ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে’ অগ্রগতির কথা জানায় ইরান। এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, তেহরান-রিয়াদ আলোচনা সঠিক পথেই আগাচ্ছে। উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পূর্বেকার অবস্থায় নিতে হলে বেশ সময়ের প্রয়োজন।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান, ফাইল ছবি

এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশের চলমান সংলাপ গোটা মধ্যপ্রাচ্যের স্বার্থ রক্ষা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে এই আলোচনা। তবে একের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অপরের সম্মান দেখাতে হবে। এটি করা গেলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে মধ্যপ্রাচ্য।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরবে শিয়া ধর্মীয় নেতা শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেহরান-রিয়াদ উত্তেজনা তীব্র থেকে তীব্রতর হলে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। সবশেষ ২০২০ সালের শেষ দিকে সম্পর্ক উন্নয়নে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরুর কথা জানিয় গণমাধ্যম।

ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছিলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের ৪ দফা আলোচনা হয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে। এই আলোচনা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছে উভয় দেশ।

খবরে বলা হয়, রিয়াদে কনস্যুলেট খোলা এবং জেদ্দায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদর দপ্তরে প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে ইরান।