সরেই গেলেন মার্কিন দূত খলিলজাদ

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দূত জালমে খলিলজাদ পদত্যাগ করছেন। দেশটির পররাষ্ট্র দফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তালেবানের কাবুল দখল ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দুই মাসেরও কম সময়ে তার পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। খলিলজাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন তার ডেপুটি টম ওয়েস্ট। আল জাজিরা।

জালমে খলিলজাদ

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টানি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খলিলজাদ তার ভূমিকা থেকে সরে যাচ্ছেন। আমি আমেরিকান জনগণের প্রতি তার কয়েক দশকের সেবার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি রাষ্ট্রদূত খলিলজাদকে তার সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাই এবং তার স্থলে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি ওয়েস্টকে স্বাগত জানাই।

বিষয়টি সম্পর্কে পরিচিত একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, খলিলজাদ শুক্রবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার প্রচেষ্টায় বাইডেন প্রশাসন সর্বশেষ তালেবানের সঙ্গে মার্কিন আনুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নেয়, যা অক্টোবরের শুরুতে দোহায় অনুষ্ঠিত হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টানি ব্লিঙ্কেন

ব্লিঙ্কেনকে লেখা একটি চিঠিতে খলিলজাদ জানিয়েছিলেন, তার সময় শেষ হয়ে এসেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান নীতির নতুন ধাপ চলাকালীন পথ তৈরিতে সহায়তা করতে চান।

এএফপিকে তিনি বলেন, আফগান সরকার যেভাবে চাওয়া হয়েছিল, তালেবান সেভাবে গঠন করতে পারেনি। কারণগুলো খুব জটিল এবং আমি আগামী দিনে আমার ভাবনা শেয়ার করব।

আফগানিস্তানে জন্মগ্রহণকারী খলিলজাদ ২০১৮ সাল থেকে আফগানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত হিসেবে ছিলেন। তালেবানদের সঙ্গে তিনি আলোচনার নেতৃত্ব দেন, যার ফলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি সম্ভব হয়েছিল। এরপর তিনি তালেবানকে পশ্চিমা সমর্থিত ঘানি সরকারের সাথে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য চাপ দেন, তবে তা করতে ব্যর্থ হন।

তার বিরুদ্ধে মার্কিন কর্মকর্তারা অভিযোগ তোলেন, খলিলজাদ তালেবানের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন। তিনি ক্রমাগত ঘানি সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

সম্প্রতি ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, তালেবান ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে করা চুক্তির মূল শর্তগুলো পূরণ করেছে। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা করা যাবে না, সেটাও তালেবান রক্ষা করেছে।