বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা: ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত উদ্বেগজনক

দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার নাম দিয়েছে ওমিক্রন। শুরুতে ভ্যারিয়েন্টটিকে ই.১.১.৫২৯ বলে ডাকা হচ্ছিল। ওমিক্রন নাম দেয়ার পরে একে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন বা উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতকাল শুক্রবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ওমিক্রন নামের নতুন ভ্যারিয়েন্টটিকে উদ্বেগজনক বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বুধবার প্রথমবারের মতো করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটি সামনে আসে। তখনই জানানো হয়েছিল, আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এর আগে গত ৯ নভেম্বর সংগ্রহ করা একটি নমুনায় এই ই.১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভ্যারিয়েন্ট অনেকবার মিউটেশন করেছে। এ কারণে নতুন করে সংক্রমণের হার আরো বেড়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় সবকটি প্রদেশে এর মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বসতোয়ানা, ইসরায়েল ও হংকংয়ে নতুন ধরনটির সন্ধান মিলেছে। ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামেও একজনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে ধরনটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, ওমিক্রন নামের ধরনটির মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ নতুন করে বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে। ধরনটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। এর সংক্রমণের ক্ষমতা এবং শারীরিক জটিলতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

পাশাপাশি করোনার প্রচলিত চিকিৎসা ও টিকার ওপর কোনো প্রভাব আসবে কি-না তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। গবেষণার মাধ্যমে নতুন যে সমস্ত তথ্য উঠে আসবে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশ এবং জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।

এদিকে, এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো আফ্রিকার দক্ষিণ ভাগের দেশগুলো থেকে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। যেসব যাত্রীরা ইতিমধ্যে ইউরোপে পৌঁছেছেন তাদের দ্রুত পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা দর্শনার্থীদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করছে।