২৪ ফিলিস্তিনিকে আটক করল ইসরায়েল

ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে ২৪ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, হেবরনের সুরিফ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৪ বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায়শই অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আটক অভিযান চালায়। এনজিও সংস্থা ফিলিস্তিনি প্রিজার সোসাইটির মতে, গত অক্টোবর পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৫০ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি আছে।

পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শুরু হয়েছিল ১৯৬৭ সালের ৭ জুন। ছয় দিনের যুদ্ধের সময় তখন ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর দখল করে। সেই দখলদারিত্ব আজও অব্যাহত রয়েছে। পশ্চিম তীরের দখলদারিত্ব ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের দ্বারা ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্ট বৈধ করে নিয়েছে জোরপূর্বক। ইসরায়েলি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হল এ দখলবাজির জন্য আইন প্রযোজ্য নয়, কারণ অঞ্চলটি বিতর্কিত।

ইসরায়েল কর্তৃক নির্মিত অবৈধ বসতি

আধুনিক ইতিহাসে দীর্ঘতম এ দখলদারিত্ব নজিরবিহীন। ১৯৪৮ সালে বেলফোর ঘোষণায় স্বীকৃতি পায় ইসরায়েল। সেই ঐতিহাসিক অধিকারের ওপর ভিত্তি করে ইসরায়েলি রাষ্ট্র গঠিত। এখন অধিকৃত এলাকা ইহুদিদের জন্য গভীর প্রতীকী মূল্য হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে পিছপা হচ্ছে না।

ইসরায়েল বিতর্কিতভাবে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে পশ্চিম তীরে অসংখ্য বসতি স্থাপন করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ধারাবাহিকভাবে ওই অঞ্চলে বসতি স্থাপনের বিরোধিতা করেছে। জাতিসংঘরে পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে ইহুদি দখলবাজি আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২৩৩৪ এর সাথে চলমান বসতি সম্প্রসারণের নীতি ঔপনিবেশিকতার উদাহরণ হিসাবে সমালোচিত হয়েছে।