চীনা আগ্রাসন ঠেকাতে নৌ-বাজেট বাড়াল ইন্দোনেশিয়া

নিজেদের সমুদ্রসীমায় চীনা জাহাজের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং নিজ নৌবাহিনীকে আধুনিকায়নের জন্য নৌ-বাজেট বাড়িয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

ইন্দোনেশিয়ার নেভি একাডেমির সদস্যদের টহল

এশিয়া টাইমস জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রবিষয়ক মন্ত্রী লুহুত পাঞ্জাইতান বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলের সাগরে চীন ও বিদেশি ট্রলারের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো জরুরি হয়ে পড়েছিল৷ কারণ, তারা স্থানীয় শ্রমজীবীদের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।

এএনআই জানিয়েছে, এতদিন ইন্দোনেশিয়ায় নির্মিত ২টি সিগমা ক্লাস ও 1960- দশকেত ৭টি ভ্যান স্পেইজক-শ্রেণির ফ্রিগেট জাকার্তার নৌবহরে অন্তর্ভুক্ত ছিল। যেগুলো এক নাগাড়ে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৯ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারে।

এ ছাড়া অন্য ২৪টি জাহাজের ১৪টিই তাদের ‘সার্ভিস টাইম’ এর দ্বারপ্রান্তে। ফলে, এগুলো নিয়ে ঠিকমতো নিজদের সমুদ্রসীমা টহল দিতে পারতো না ইন্দোনেশিয়া।

বার্তা সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রবোও সুবিয়ান্তো স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার দেশ দুটি ব্রিটিশ অ্যারোহেড ১৪০ ফ্রিগেটের জন্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে। যা রাষ্ট্র-চালিত পিটি পিএল-এর সুরাবায়া শিপইয়ার্ডে নির্মিত হবে।

এ ছাড়া ৬টি নতুন ইতালীয় এফআরইএমএম মাল্টি-রোল ফ্রিগেট এবং হালকা ওজনের আপগ্রেডেড দুটি ফ্রিগেটের বিষয়েও চুক্তিও সম্পন্ন করেছে। অথচ গত পাঁচ দশকেও দেশটি তার নৌবাহিনীর জন্য এতটা ব্যয় করেনি।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরের (ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে) নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে উঠেপড়ে লেগেছে চীন। এ নিয়ে ওই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে বেইজিং। এ অবস্থায় চীনের আগ্রাসন থেকে নিজেদের জলসীমা মুক্ত রাখতে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে বরাদ্দ বাড়াল জাকার্তা।