ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরি ব্রিগেড সদর দফতরে জঙ্গি হামলায় ১৭ সেনাকে হত্যার ঘটনায় কড়া জবাব দিতে চায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, উরির ঘটনার জবাব দিতে হলে সীমান্ত পেরিয়ে হামলার ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। তবে আরেকটি অংশ আবার সর্বাত্মক যুদ্ধ লেগে যাওয়ার আশঙ্কায় সেনাবাহিনীকে শান্ত থাকতে বলেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের সঙ্গে ৭৭৮ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আর্টিলারি ব্যারেজ ও স্নাইপার রাইফেলধারী সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে যেকোন ধরনের অভিযান পরিচালনা করতে মানসিক প্রস্তুতিও নিতে বলা হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘাঁটিগুলিতে বিমানবাহিনীকে সম্ভাব্য যেকোনো ঘটনার জন্য সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানে হামলা করলে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলেও আশংকা করছে ভারত সরকার। ফলে নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আক্রমণের কথা ভাবছে নীতি নির্ধারকরা। বলা হচ্ছে, সীমার মধ্যে থেকে পাক সেনাদের আক্রমণের বিষয়ে ভারতীয় সেনাদের কোন বাধা দেওয়া হবে না।
সিনিয়র একজন সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাই থেকে শুরু করে পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার কোনো প্রতিশোধ না নিয়ে এভাবে চুপ করে থাকা যায় না।
প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, বড় দূরত্বের আক্রমণের ক্ষেত্রে ৯০ কিলোমিটার রেঞ্জের স্মার্ট রকেট বা ২৯০ কিলোমিটার রেঞ্জের ব্রাহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার সাঁড়াশি বিমান হামলার ক্ষেত্রে মিরেজ-২০০০, জাগুয়ার বিমানযোগে লেজার নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট বোমা অথবা ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরেকটি পক্ষ বলছে, ভারতকে সাবধানে পা ফেলতে হবে। কেননা পাকিস্তানের সম্পূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই ভারতকে লক্ষ্য করে মোতায়েন করা আছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিও আমলে নিচ্ছে ভারত।