দুবাইয়ে চলছে ছয় মাসব্যাপী ‘দুবাই এক্সপো’। বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ সেখানে নিজস্ব ঐতিহ্যে সাজিয়েছে তাদের প্যাভিলিয়ন। গত সোমবার সেখানকার পাকিস্তানি প্যাভিলিয়নে উন্মোচন করা হয় পবিত্র কোরআনের বৃহত্তম কপির একটি অংশ। বিষয়টি মেলায় আগত দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
দুবাই এক্সপোতে পাকিস্তান প্যাভিলিয়নে বিশ্বের বৃহত্তম কুরআন
উন্মোচন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা আবদুল রাজাক দাউদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আফজাল মাহমুদ, এক্সপো ২০২০-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং কর্পোরেট এক্সিকিউটিভরা।
পবিত্র কুরআনের বিশেষ এই শিল্পকর্মটি প্রস্তুত করেছেন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী শহিদ রাসাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনি উচ্চ মানের ক্যানভাসে অ্যালুমিনিয়াম ও গোল্ড প্লেটেড স্ক্রিপ্ট দিয়ে কুরআন লিপিবদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানি প্যাভিলিয়নে কোআনের সূরা আর রহমান অংশটুকু প্রদর্শিত হচ্ছে।
শিল্পী শহিদ রাসাম
সাবেক সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী রাসাম বলেন, আমি রঙ বা কালি দিয়ে পবিত্র কোরআন লিখিনি। ১৫ কেজি অ্যালুমিনিয়াম এবং এক কেজির বেশি সোনা ব্যবহার করে শব্দগুলি ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সূরা আর রহমান অংশের অনুলিপিটিতে ছয়টি পৃষ্ঠা রয়েছে। প্রথম দুটি পৃষ্ঠায় মাত্র সাতটি লাইন রয়েছে এবং বাকি পৃষ্ঠাগুলোতে ১০টি করে লাইন দেয়া হয়েছে।
২০০ জন শিল্পী, চিত্রশিল্পী, ক্যালিগ্রাফার, ডিজাইনার ও ভাস্করের প্রায় চার মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে সূরা রহমানের এই অংশটুকু প্রস্তুত হয়। শিলালিপি সম্পূর্ণ হতে প্রায় চার মাস সময় লেগেছিল।
শহিদ রাসাম জানান, এভাবে পুরো কোরআন শেষ করতে প্রায় ২০০ কেজি সোনা এবং দুই হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০ হাজার শব্দের জন্য ৫৫০ পৃষ্ঠা খোদাই করা হবে। প্রতিটি পৃষ্ঠায় ১৫০টি শব্দ থাকবে। খুব দ্রুতই শহিদ রাসাম ও তার টিম এ কাজটি সম্পন্ন করতে চান।