ভারি মৌসুমী বৃষ্টির কারণে মালয়েশিয়া গত বছরের ডিসেম্বরের শেষাংশে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়। দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ গতকাল জানিয়েছে, দুই-তিন সপ্তাহের এই বন্যায় প্রাথমিক হিসেবে দেশটি প্রায় দেড়শ কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বন্যায় ডুবে থাকা এলাকা
অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত দেশটি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়ে। এতে প্রায় ৫০ জন নিহত হয় এবং সোয়া লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এ সময় সেখানকার ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত ক্ষতির মুখে পড়ে।
ক্ষয়ক্ষতির প্রায় অর্ধেকই ঘটেছে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী ও জনবহুল রাজ্য সেলাঙ্গরে। সেখানাকার কেলান্তান, তেরেঙ্গানু, পাহাং, জোহর, মালাক্কা, নেগেরি সেম্বিলান ও সাবাহ অঞ্চল বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, আর্থিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের। উৎপাদন খাতও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
একটি শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন এক সাহায্যকর্মী
প্রতি বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলে বন্যা খুব সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি ও বন্যা উভয়টিই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকায় ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে টানা ভারী বর্ষণের কারণে এবারে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে, যার কারণে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ চাপে পড়ে যায়।