চীনের গুরুত্বপূর্ণ শহর সাংহাইতে ‘দাঙ্গা’ ছড়িয়ে পড়েছে। বাসিন্দারা দুই সপ্তাহ ধরে বাড়িতে বন্দী। তারা কোভিড-১৯ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে হতাশার মধ্যে পড়েছে। শহরটি ২৮ মার্চ থেকে লকডাউনের অধীনে। সুপারমার্কেটগুলোও বন্ধ। খাবার বিতরণ সীমাবদ্ধ থাকার কারণে বাসিন্দারা নিত্যপণ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এবিসি নিউজ।
করোনা দমনে জিরো টলারেন্স নীতি বেছে নিয়েছে চীন
করোনা দমনে চীনা সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বেছে নিয়েছে। এ নীতির অধীনে নিষেধাজ্ঞাগুলো কেবল স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক, ডেলিভারি কর্মী বা বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবাধে চলাফেরা করার অনুমতি রয়েছে। এ কারণে সাংহাইয়ের রাস্তাগুলো মূলত নীরব রয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীনা সোশ্যাল মিডিয়া এবং টুইটারের ভিডিওতে ক্রমবর্ধমান সামাজিক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। একটি ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, কঠোর লকডাউনের মধ্যে একটি আবাসিক কমপ্লেক্সের প্রবেশপথে প্রতিরক্ষামূলক স্যুটে নিরাপত্তারক্ষীদের বিশাল ভিড়। সেখান থেকে চিৎকার উঠছে ‘খাদ্য সরবরাহ করুন’।
চীনের পতাকা
একজন ওয়েইবো (চীনা ফেসবুক) ব্যবহারকারী ইয়ায়া পোস্ট করেছেন, কাছাকাছি এলাকায় দাঙ্গা হয়েছে। প্রতিবাদ করার আগ পর্যন্ত লোকেরা খাবার পায়নি। এটা খুব হাস্যকর। তিনি বলেন, আমার স্বামী এবং আমি কিছুদিন ধরে অনলাইনে সবজির জন্য লড়াই করছি।
সাংহাইয়ের অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, সরকারি খাবার বিতরণের সময় দেখা গেছে ডেলিভারি অপর্যাপ্ত। বিশেষ করে সংজিয়াং জেলার জিউটিং এলাকায় খাদ্য সংকটের পরিস্থিতি দেখা গেছে। জিউটিং এলাকায় বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাবের হার সবচেয়ে বেশি।
ওয়েইবোর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত পোস্টগুলোতে আরও দেখা যাচ্ছে, কিছু বাসিন্দা তাদের খাবারের অর্ডার সরবরাহ করতে সক্ষম হয়নি। অন্যরা পোস্ট করেছে, তাদের খাবার সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যাচ্ছে।
কেউ কেউ বলেছেন, মুদি শপিং অ্যাপেও সংকট। সেখানে অর্ডার করা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দিনের অর্ডার ইতোমধ্যেই পূরণ হয়ে গেছে। কিছু ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাংহাইয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। গতকাল রোববার রাতে তোলা একটি ক্লিপে আবাসিক টাওয়ারগুলোর মধ্য থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দও পাওয়া গেছে।