দীর্ঘ একমাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে কোভিডমুক্ত হতে যাচ্ছে চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাই। তবে প্রশাসন এখনও ভয়ের মধ্যে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শহরে কোভিড প্রাদুর্ভাব এখনও রয়ে গেছে। এজন্য প্রশাসন একটি গণপরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে আবাসিক এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে এ কাজের জন্য লোকবল ঠিক করা হয়েছে। বিবিসি।
বিধিনিষেধমুক্ত হচ্ছে সাংহাই
খবরে বলা হচ্ছে, ধীরে ধীরে সাংহাইয়ের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে। এজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। মূলত ওমিক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যাপক যুদ্ধ করল সাংহাই। যাদের পজিটিভ পাওয়া গেছে তাদের জোর করে হলেও কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। যাদের কোয়ারেন্টিনে বাধ্যতামূলক করা হয় তাদের অধিকাংশেরই বয়স ছিল ১০০ বছরের বেশি।
উ নামক এক ব্যক্তি বিবিসিকে জানান, পাঁচ সপ্তাহ আমি বিধিনিষেধ পালন করেছি। আমি আমার কম্পাউন্ডের শেষের গেট পর্যন্ত যেতে পেরেছি। এই একমাসের বেশি সময় আমি আর কোথাও যেতে পারিনি। কোয়ারেন্টিনে থাকা আরেক ব্যক্তি জানাচ্ছেন, আমাদের এখন পর্যাপ্ত চিকিৎসার সংস্থান নেই। সাধারণ দিনের মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া যায় না।
বিবিসি ৯০ বছর বয়সী এক মহিলার পরিবারের কাছ থেকে দুঃখজনক গল্প তুলে এনেছে। ওই নারী করোনা পজিটিভ হওয়ার পর কর্মকর্তারা জোর করে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়। তার পরিবার পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, তার খাওয়া এবং কীভাবে সে নিজে টয়লেটে যাবে সে বিষয়ে চিন্তিত ছিল। কারণ তার বৃদ্ধ স্বামী বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন।
সাংহাইয়ে প্রথম দিকে করোনা আক্রান্তরা সংখ্যায় এত বেশি ছিল যে, হাসপাতালে পা ফেলার জায়গা ছিল না। গত মাসে ডংহাই এল্ডারলি কেয়ার হাসপাতালে কিছু রোগী মারা গেছে। তাদের সবাই করোনা পজিটিভ ছিলেন। অথচ সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা তখনও শূন্য ছিল।
আরেকজন লোক বলছেন, তার ৯০ বছর বয়সী বোন মারা গেছে। তার বোন অন্য যে পাঁচজনের সাথে একটি কক্ষে ছিল, তারা কেউই বেঁচে নেই। বিবিসি হাসপাতালের একজন আয়ার সঙ্গে টেক্সট বিনিময় করেছে। ওই আয়া জানান, নিবিড় পরিচর্যা ওয়ার্ডে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।