জি-৭ বা গ্রুপ অব সেভেন ইউক্রেনের জন্য ১৫ বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করতে যাচ্ছে। জার্মান এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। তবে রাশিয়া বলছে, এ তহবিল আসলে পুরোটাই চুরি। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার সম্পদ আটক করে সেগুলো ইউক্রেনের জন্য দেওয়া হচ্ছে। ফলে পুরোটাই এক ধরনের চুরি।
জি-সেভেন অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক
এ সপ্তাহে জার্মানির বন শহরে জি সেভেন গ্রুপের অর্থমন্ত্রীরা এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তারা সম্মিলিতভাবে ইউক্রেনের জন্য ১৫ বিলিয়ন ইউরো বা ১৫.৮০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ প্রস্তুত করেন বলে জার্মান সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ তথ্য জানান।
এই সহায়তা প্যাকেজটি তিন মাস কভার করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। মূলত অনুদানের আকারে একটি স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা, যা ঋণের বিপরীতে পরিশোধ করতে হবে না। কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের রাজস্ব আয় ধসে পড়ার কারণে এ সহায়তার প্রয়োজন ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে একাই সাড়ে সাত বিলিয়ন ইউরো দিয়ে অর্ধেক অবদান রাখার প্রস্তাব দিয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ
এদিকে রাশিয়া জি-সেভেনের এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছে। ক্রেমলিন দাবি করছে, আর্থিক সংগঠন গ্রুপ অব সেভেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাশিয়ার হিমায়িত রিজার্ভ বাজেয়াপ্ত করা এবং ইউক্রেনের জন্য সেগুলো ব্যয় করা সরাসরি চুরি বলে সাব্যস্ত হবে।
জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার চারটি ইউরোপীয় সংবাদপত্রকে বলেছেন, তিনিই রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে সে সম্পদ ইউক্রেনের পুনর্গঠনে অর্থায়নের ধারণা দিয়েছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, কেউ রাশিয়াকে এমন একটি উদ্যোগের কথা জানায়নি। সুতরাং এই পদক্ষেপটি হবে অবৈধ, নির্লজ্জ ও নীতিবিরুদ্ধ। সত্যি কথা বলতে গেলে, এটি প্রকৃতপক্ষে সরাসরি চুরি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা সাতটি দেশের সংগঠন গ্রুপ অব সেভেন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে এবং তাদের এখতিয়ারে থাকা সম্পদ জব্দ করেছে, যার মূল্য প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার। গত ফেব্রুয়ারিতে পুতিন ইউক্রেন হামলার পর থেকেই রাশিয়ার এ সমস্ত সম্পদ সিজ করা শুরু হয়।