ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণের কারণে তিন মাস বন্ধ থাকা কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস আবার চালু হয়েছে। দূতাবাসের ওপর মার্কিন পতাকা উত্তোলনের কিছুক্ষণ আগে মুখপাত্র ড্যানিয়েল ল্যাঞ্জেনক্যাম্প রয়টার্সকে জানান, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছি। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস
ড্যানিয়েল বলেন, অল্প সংখ্যক কূটনীতিক প্রাথমিকভাবে মিশনে ফিরে আসবেন। তবে কনস্যুলার কার্যক্রম আপাতত পুনরায় শুরু হবে না এবং ইউক্রেনজুড়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কোনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে না।
১৪ ফেব্রুয়ারি রুশ হামলা শুরুর দিনই কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়। দূতাবাসের কর্মীরা সংঘর্ষের প্রথম দুই মাস পোল্যান্ডে কাটিয়েছেন। এরপর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্রিস্টিনা কেভিয়েন পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ পরিদর্শন করার পর গত ২ মে তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান।
ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ
অস্ত্রের মজুদ নবায়নে একসঙ্গে কাজ করবে ইইউ সদস্য দেশ: ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর পাঠানো যেসব গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা পুনরায় মজুত করার অনুরোধ করা হয়েছে। যারা ইউক্রেনে পাঠানো সামগ্রী মজুত করতে একত্রে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের আর্থিক প্রণোদনাও ঘোষণা করা হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্যের অনেকেই ইউক্রেনীয় সেনাদের সাহায্য করার জন্য সামরিক সরঞ্জাম পাঠায়। প্রথমে বেশিরভাগ সহায়তা গোলাবারুদেও মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন যুদ্ধবিমান এবং ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার জন্য বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, সেইসাথে ভারী সরঞ্জামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইইউ-এর নির্বাহী শাখা ইউরোপীয় কমিশন দেশগুলোর স্টক পুনরায় পূরণ করার জন্য কমপক্ষে তিনজনের দলে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছে। ইচ্ছুক দেশগুলোকে দুই বছরে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো বা ৫২৬ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিলও অফার করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা নিরাপত্তার কারণে বলতে রাজি হননি, ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জামের ঠিক কী পরিমাণ ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।