কেবল ইউক্রেনেরই অধিকার আছে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার, অন্য কারো নয়। গতকাল রোববার ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময় পোলিশ প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। দেশটিতে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর প্রথম বিদেশি সরকারপ্রধান হিসেবে সেখানকার সংসদে ভাষণ দেন আন্দ্রেজ দুদা। খবর রয়টার্স।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ভাষণ দেন আন্দ্রেজ দুদা
কিয়েভ কোনো কোনো শান্তি চুক্তির প্রস্তাব বাতিল করেছে। আবার মস্কো তার বাহিনী পুনর্গঠনের সুযোগ নিতে পারে এমন আশঙ্কায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, পুতিনের দাবি মেনে নেওয়া উচিত। এ পরিস্থিতিতে পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, ইউক্রেনের যথাযথ অধিকার রয়েছে তার নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। পার্লামেন্ট মেম্বারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই আপনাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেনের পুরো অংশ থেকে সরে যেতে হবে। তাদের সেনা ফিরিয়ে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত
আন্দ্রেজ দুদা মন্তব্য করেন, অর্থনৈতিক কারণে বা রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য যদি ইউক্রেনকে বলি দেওয়া হয়, তার ভূখণ্ডের এক সেন্টিমিটার জায়গাও ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে এটি শুধু ইউক্রেনীয়দের জন্য নয় বরং সমগ্র পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একটি বিশাল আঘাত হয়ে দেখা দেবে।
রাশিয়ার সাথে পোল্যান্ডের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই ভালো ছিল। কিন্তু ইউক্রেনে হামলার পর থেকে মস্কো ছেড়ে কিয়েভের অন্যতম কট্টর মিত্র হিসেবে অবস্থান নেয় ওয়ারশ। পোল্যান্ড বর্তমানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করছে। পাশাপাশি ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার সমর্থনেও সোচ্চার হয়েছে।
গতকাল রোববার তিনি বলেন, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হওয়া পর্যন্ত আমি বিশ্রাম নেব না।