বাইডেনের এশিয়া ত্যাগ, শোনা গেল ক্ষেপণাস্ত্রের গর্জন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এশিয়া ত্যাগ করার পরই উত্তর কোরিয়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এগুলোর মধ্যে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাইডেন পরমাণু অস্ত্র রোধ করার জন্য নতুন ব্যবস্থা নিতে সম্মত হওয়ার পরই উত্তর কোরিয়া এই কাণ্ড ঘটাল।

জো বাইডেন

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাপান ত্যাগ করেন। তাকে উত্তর কোরিয়ার পদক্ষেপের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) বলেন, তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে এক ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ছোড়া হয়। ওই স্থানটিতে উত্তর কোরিয়ার একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। জায়গাটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

ফাইল ছবি

খবরে বলা হচ্ছে, আজ বুধবার উৎক্ষেপণ করা প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় অজ্ঞাত ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝপথে বিধ্বস্ত হয়। তৃতীয়টি ছিল স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসআরবিএম)।

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার ওই পদক্ষেপের তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। তারা সম্মিলিত লাইভ-ফায়ার মহড়া দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। এটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া একটি এসআরবিএম ক্ষেপণাস্ত্র হাইউনমু-২ উড়িয়েছে। দুই দেশের সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জেসিএস এক বার্তায় জানিয়েছেন, আমাদের সামরিক বাহিনীর শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর কোরিয়ার উসকানির জবাব দেওয়া। এই মহড়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমাদের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার জন্য অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এবং সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

উত্তর কোরিয়া প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাইডেনের সফরের আগে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা সম্প্রতি সতর্ক করেছিলেন, বাইডেনের এশিয়া সফরের সময় উত্তর কোরিয়া আরেক দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে।

এমন অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত উসকানিতে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আরও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি পাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও প্রতিরোধ জোরদার করার বিষয়ে ফোনালাপ করেছেন।