তুর্কি বিমানবাহিনীর দুটি এ-৪০০এস সামরিক পরিবহন বিমান চার মাস ধরে ইউক্রেনে আটকা পড়ে আছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই আটকে আছে। এস্কিশেহিরের কমব্যাট এয়ার ফোর্স কমান্ড থেকে উড্ডয়ন করার কথা ছিল। ইউক্রেন থেকে তুর্কি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছিল মোট ১০টি বিমান। আটকে পড়া দুটি বিমান এই বহরেরই অংশ। ইয়েকিন রিপোর্ট।
এ-৪০০এস সামরিক পরিবহন বিমান
২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে রুশ হামলা শুরুর পরই ইউক্রেন তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। বরিসপোল বিমানবন্দরে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ হয়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়ে রানওয়েতে মাইন পাতা আছে। এ কারণে ওই বিমান দুটি আর উড্ডয়ন করতে পারেনি। বিমান দুটির মোট ১৬ জন কর্মী তখন থেকেই কিয়েভের তুর্কি দূতাবাসে অবস্থান করছেন।
বিমান দুটি ফেরত পেতে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কারণ সমস্যাটি সামরিক, রাজনৈতিক নয়। ৬ জুন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের সাথে আকরের বৈঠক হয়, কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
তাছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুয়ের সঙ্গে বৈঠকে বিমান দুটির কথা তোলা হয়, কিন্তু কোনো ফল পায়নি তুরস্ক। তবে বিমানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছে।
সামরিক বিমান দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিমানের মূল্য প্রায় ১১০ মিলিয়ন ইউরো। বিপত্তি শুধু রানওয়ের মাইন নয়, ইউক্রেনের আশঙ্কা রাশিয়ানরা বিমান দুটি দখলে নিয়ে নিতে পারে। আর এতে যেকোনো সময় বিমান দুটি যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কারণ যুদ্ধের উভয়পক্ষের সেনাদের হাতে কাঁধে চালিত সয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।