মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চান সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিক। বিষয়টিকে সামনে রেখে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের সাথে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। আগামীকাল বুধবার মাদ্রিদে বসছে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন। আহভাল নিউজ।
সুইডেন ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে চান বাইডেন, এরদোয়ানকে ফোন
বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জবাবে পশ্চিমা ঐক্য ও শক্তি প্রদর্শনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো জোটের সদস্যরা সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে ভবিষ্যত সদস্য হিসেবে স্বাগত জানাতে চায়।
মাদ্রিদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মঙ্গলবার আঙ্কারায় এরদোয়ান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ফোনালাপের বিষয়ে এরদোয়ান বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাইডেনের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল আবার একত্রিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে মৃতপ্রায় চুক্তির বিষয়েও বাইডেন আমাদের সাথে আলোচনা করতে চান।
শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক আগে এরদোয়ানের সাথে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের নেতাদের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। স্প্যানিশ রাজপরিবার আয়োজিত নৈশভোজের আগে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
তুর্কি কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আঙ্কারা মতপার্থক্য নিরসনে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চান না। নর্ডিক দেশগুলো যদি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এবং পিকেকে-কে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচনা করে তাহলে একটা সমাধানে আসা যাবে।
তুরস্ক ন্যাটো সম্প্রসারণে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছে। তুরস্কের দাবি, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) আশ্রয় দিচ্ছে এবং সমর্থন করছে। পিকেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃত। সংগঠনটির সিরিয়ান শাখার নাম ওয়াইপিজি। কিন্তু নর্ডিক দেশ দুটি তুরস্কের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পিকেকে স্বায়ত্তশাসনের জন্য তুর্কি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চার দশক ধরে লড়ছে। এই যুদ্ধে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে, যাদের বেশিরভাগই কুর্দি জনগোষ্ঠীর। এরদোয়ান বলছেন, আমরা কথা চাই না, চাই ফলাফল।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের অনাবাসী সিনিয়র ফেলো কামাল কিরিসি বলছেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদে এরদোয়ানের বিরোধিতা ন্যাটোর অন্য দেশগুলোর সাথে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। বৈশ্বিক ভূমিকা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ব্যবহার করছেন টার্কিশ প্রেসিডেন্ট।