প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের ভিন্ন বক্তব্য, অত:পর..

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয় যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে কোন প্রত্যাশা রাখা যায় না। একই দিনে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হককে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন। রয়টার্সকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও বাসসের খবরে প্রকাশ হওয়া পররাষ্ট্র সচিবের উদ্ধৃতি পরস্পরবিরোধী। এই বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলছেন, তিনি এমন কিছুই বলেননি।

রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই শরণার্থী নিয়ে তাদের মনোভাব ব্যক্ত করেছে। তাদের কাছে আমরা কী আশা করতে পারি? বিশেষ করে দেশটির প্রেসিডেন্টই যখন এমন মনোভাব প্রকাশ করেন তবে কেনই বা আমরা তাদের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতবো?'

জাতিসংঘের সভা শেষে খুব অল্প সময়ের জন্য ট্রাম্পকে থামিয়েছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা রয়টার্সকে জানান, এ সময় ট্রাম্প তার কাছে বাংলাদেশের খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ খুব ভালো অবস্থায় আছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীরা। কিন্তু শরণার্থী প্রসঙ্গে ট্রাম্প কোন মন্তব্যই করেননি।'

এদিকে একই দিনে বাসসের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যেখানে বলা হয় পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

বাসসের এই সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশের বেশ কযেকটি সংবাদ মাধ্যম সংবাদটি প্রকাশ করে। পরস্পরবিরোধী এই বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব জানান, তিনি বিষয়টি এভাবে বলেননি।

তিনি বলেন, 'আমি বলেছি, জাতিসংঘের সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হয়েছে। অনেকের মাঝখানে বিশেষ কোন আলাপ হয়নি। কিন্তু আমেরিকা সবসময় আছে আমাদের সঙ্গে।' 

জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক থেকে সড়কপথে ভার্জিনিয়ায় যাবেন। তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন। ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।