রাজধানীতে হাঁটুপানি আর নয়

রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন মন্ত্রী। সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ উত্থাপিত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার পল্লী ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান জানিয়েছেন, ‘রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। আগামী বছর থেকে ঢাকায় হাঁটুপানি থাকবে না।’

জাতীয় সংসদে রোববার, ১২ নভেম্বর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে সাংসদদের প্রশ্নের জবাব দেন। সরকার দলীয় এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সি জাইকার সহযোগিতায় ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলছে।’

‘এটি বাস্তবায়িত হলে নগরীকে একটি স্বস্তিদায়ক নগর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সড়কের ওপর খোলা কনটেইনার রাখার বিষয়টি করপোরেশন নীতিগতভাবে অনুমোদন করে না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ১৩০টির মতো কনটেইনার অপসারণ করা হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, খোলা কনটেইনার সরানোর পর ৫২টি পরিবেশবান্ধব সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এটিএস) নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো ৫০টির মতো কনটেইনার রাস্তার ওপর বাধ্য হয়ে রাখতে হচ্ছে। এই কনটেইনারগুলোও সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটিএস নির্মাণের জায়গা পেলে এগুলো সরিয়ে দেয়া হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের ১৩ কোটি ৯২ লাখ (৮৭ শতাংশ) জনগণ নিরাপদ পানির সুবিধা ভোগ করছে। ৯৯ শতাংশ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ উন্নত, ২৮ শতাংশ যৌথ ল্যাট্রিন ও ১০ শতাংশ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করেছে।’

সরকার দলীয় সাংসদ দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ১২ শতাংশ জনগণ আসের্নিক দূষণজনিত ঝুঁকিতে রয়েছে। আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে ‘পানি সরবরাহে আসের্নিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প’ গ্রহণ করে একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার জন্য আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি নিশ্চিত হবে।’