খালেদা জিয়ার দাবি নাকচ করে দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

২০০১ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ায় বিএনপি লাভবান হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, আর আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা তখন ছিলেন বাগানে। তাই আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী ভোটের সময় সিভিলদের সহায়তা করবে। তাদের কেন বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে?’

আজ সোমবার, ১৩ নভেম্বর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এরআগে গত রোববার, ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন করতে হবে এবং ইভিএম ব্যবহার চলবে না।’

খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গোলযোগ করে বিএনপির কোন লাভ হবে না। বিগত দিনে গোলযোগ করে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে, আগামীতে গোলযোগ করলে তাদের আরো বেশি ক্ষতি হবে। শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্দলীয় সরকারের স্বপ্ন বিএনপির কোন দিন পূরণ হবে না।’

বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য বিএনপি যে দাবি তুলেছে তা নাকচ করে দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী কেন বিচারিক ক্ষমতা পাবে? ভোটের সময় সেনাবাহিনী কেবল অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা করবে।’

বিএনপি পূর্বের ন্যায় ব্যালটের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। তাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোট নেওয়ার বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে ভোটে ইভিএম ব্যবহার করবে, না চাইলে নেই। এটা ইসির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। ইভিএম -এর বিষয়ে আমরা দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আমাদের অবস্থান জানিয়েছে। বাকিটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের শেষের দিকে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা আসতে পারে এমন বাস্তবতাকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ক্ষমতার লড়াইয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখতে প্রথমিকভাবে নির্বাচনী রোড ম্যাপ নিয়ে নিজেদের দাবি ও মতামত তুলে ধরছেন। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দুই দলের পাল্টিাপাল্টি বক্তব্য দেয়ার প্রবণতা আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।