মওদুদ বললেন, প্রধানমন্ত্রীর সামনে দুটি পথ খোলা আছে...

বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে মাত্র দুটি পথ খোলা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মওদুদ আহমদ। মওদুদের মতে, সেই দুটি পথের একটি হচ্ছে, সম্মানজনকভাবে বিদায় নেওয়া এবং অন্যটি হচ্ছে অসম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়া।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় মওদুদ বলেন, 'জনগণ তাদের পক্ষে নেই। তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দুটি পথ খোলা আছে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার। বিদায় তাকে নিতেই হবে। হয় সম্মানজনকভাবে না হলে অপমানিত-লাঞ্ছিত হয়ে পদত্যাগের মাধ্যমে।'

বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠায় তাদের দাবি জানিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এতে কর্ণপাত করছেন না ক্ষমতাসীনরা। এর আগের নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। পরে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো আন্দোলনেও ব্যর্থ হয় বিএনপি।

বিএনপির দাবির মুখে আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ সরকারকে হুঁশিয়ার করে বললেন, 'প্রধানমন্ত্রী যদি সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা থেকে যেতে চান, তাহলে সমঝোতায় আসতে হবে। সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রী সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেয়ার পথ খোলা থাকবে।'

তিনি বলেন, 'সরকার সমঝোতায় না আসলে, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থা না করলে তাদের কপালে যা থাকে তারাই সামলাবেন। আমাদের কিছু বলার থাকবে না। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। সমঝোতায় সরকার যদি না আসলে রাজপথের কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি জানে কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়।'

সভাটি ছিল যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কারাবন্দি সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবির সভা। সভাটির আয়োজন করে বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী যুব ফোরাম। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা। মওদুদ ছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, শাহাজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ আরো অনেকে।