যে কারণে বাতিল হলো রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকের পরীক্ষা

রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেছে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। পাশাপাশি নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্নরকম অব্যবস্থাপনা অনুসন্ধান করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত শুক্রবার ৮ ব্যাংকের পরীক্ষায় নানা ধরণের অভিযোগ করে আসছিলেন পরীক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার এক জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। গত শুক্রবার বিকালে সরকারি আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে 'সিনিয়র অফিসার (সাধারণ)' পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবারের এই নিয়োগ পরীক্ষায় ঢাকার দুটি কেন্দ্রে সাড়ে মোট পাঁচ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী আসন স্বল্পতার কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। পরে তাদের জন্য পরীক্ষা নেয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু ১২ জানুয়ারি পুরো পরীক্ষা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে পরীক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে সোমবার রাজধানী থেকে দুই চাকরি প্রার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীরা জানান, ১২ ঘণ্টার মধ্যে আটককৃতদের ছেড়ে দিয়ে পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, ৮ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার (সাধারণ) ১ হাজার ৬৬৩টি শূন্যপদের বিপরীতে অংশগ্রহণযোগ্য পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার। শুক্রবারের ওই পরীক্ষা ৬১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, 'অনেক কেন্দ্রেই আসন-ব্যবস্থাপনা, সময়মতো প্রশ্নপত্র না পাওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে।' এরমধ্যে মিরপুরের শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার সময়েই বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

আজ সভায় মোট তিনটি সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। প্রথমত, পরীক্ষা বাতিল। দ্বিতীয়ত, তদন্ত কমিটি গঠন। কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে। যার ব্যাখ্যা দিবে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ। তৃতীয়ত, এসবের পর সিদ্ধান্ত হবে পরে কখন কী প্রক্রিয়ায় আবার পরীক্ষাটি নেয়া হবে।