১২ বর্গকিলোমিটার জুড়ে এবারের আখেরি মোনাজাত!

দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব। টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের ৫৩তম এ বিশ্ব ইজতেমায় হেদায়েতি বয়ান, ধর্মীয় আলোচনা ও ইবাদতের মধ্য দিয়ে তিন দিন অতিবাহিত করেন মুসল্লিরা।

রোববার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। বাংলা ও আরবি ভাষায় ২৫ মিনিটের এ মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের।

আখেরি মোনাজাতের সময় ইজতেমার আয়তন দক্ষিণ পার্শ্বে খিলক্ষেত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। উত্তরে বোর্ডবাজার, পূর্বে টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরী ও পশ্চিমে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয় দেশের সবচেয়ে বড় এ দ্বীনি জমায়েত।

আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ভোরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকার পা্র্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মুসল্লি তীব্র শীত উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটেই রওনা হন টঙ্গীর পথে।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ আশপাশের এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারখানা, বিপণিবিতান ও অফিস ছিল বন্ধ। মোনাজাত শেষে টঙ্গী থেকে সবার বাড়ি ফেরার সুবিধার জন্য ১৯টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বহু নারীও এসেছিলেন মোনাজাতে অংশ নিতে। তারা আশপাশের বিভন্ন কারখানা ও আবাসিক ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে হাত তোলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি ভোরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ওই পর্বে অংশ নেন ঢাকাসহ ১৭ জেলার মুসল্লিরা। ঢাকাসহ আরও ১৫ জেলার মুসলমানদের অংশগ্রহণে ১৮ জানুয়ারি, শুক্রবার শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।

এবার যারা অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি সেসব ৩২টি জেলার মুসল্লিরা আগামী বছর দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।