এফআরডিসিতে স্বাধীনতার মাসে গণহত্যা নিয়ে 'বিতর্ক'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে স্বাধীনতার মাস মার্চে গণহত্যা নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বিতর্কে চর্চিত হোক স্বাধীনতার পাঠ’ স্লোগানকে ধারণ করে ‘জেনোসাইড বিতর্ক-২০১৮’ শিরোনামে এফ রহমান ডিবেটিং ক্লাবে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয় এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

১২টি কলেজ এবং ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে গত ৮ মার্চ শুরু হয় এই বিতর্ক উৎসবের। বিশ্বের নানা প্রান্তে সংঘটিত বিভিন্ন জেনোসাইড (গণহত্যা) এবং এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিতর্কটি বেশ আলোচিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক দমন কী জাতিগত নির্মুলের বা গণহত্যার সমতুল্য অপরাধ? -এ নিয়েও বিশদ আলোচনা করেছে প্রতিযোগী ও বিচারকরা।

গত ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উৎসবের সমাপনী বিতর্ক ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ‘ডিবেটিং ক্লাব অব রউফ কলেজ’ এবং রানার্স আপ হয়েছে ‘ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি’। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সূর্যসেন বিতর্ক ধারা’ এবং রানার্স আপ হয়েছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি।

নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান এবং নিপা গ্রুপের ডিরেক্টর জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন।

উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি উপাচার্য স্যার আহম্মদ ফজলুর রহমানের নামে ৪র্থ বারের মত আয়োজিত এই স্মারক বিতর্ক প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে নিপা গ্রুপ ও এসইডি (SED) ফাউন্ডেশন।

এফ রহমান ডিবেটিং ক্লাবের ( এফআরডিসি) সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মুফরাদের সঞ্চালনা ও ক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মার্চ মাসে পাক হানাদারদের চালানো গণহত্যার ওপর আলোচনায় অংশ নেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন এসইডি ফাউন্ডেশনের ম্যানেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটর এ বি এম ইমদাদুল হক খান এবং নারায়গঞ্জের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।