ইউনাইটেড হাসপাতালকে র‌্যাবের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম

বিভিন্ন পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার, অননুমোদিত এজেন্ট থেকে ওষুধ ক্রয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহারের অভিযোগে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের একটি ভ্রাম্যমান আদালত। একই সঙ্গে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।

অভিযান শেষে ইউনাইটেড হাসপাতালের লবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জরিমানার পাশাপাশি ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এই ১৫ দিনের মধ্যে তারা যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং উপকরণ পরিবর্তন ও যদি সরিয়ে না ফেলে তাহলে তাদের আইএসও সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ইউনাইটেড হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল টেস্টে যেসব রি-এজেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। তাই তারা রোগীদেরকে টেস্টের যেসব রিপোর্ট প্রদান করেন সেগুলো সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।’

সারওয়ার আলম বলেন, ‘হাসপাতালটির বিভিন্ন ল্যাবে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ ও উপকরণগুলোর মেয়াদ দুই থেকে চার বছর আগেই শেষ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো দিয়ে টেস্ট করালে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যাবে না। ফলে চিকিৎসা প্রদানেও সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। রোগীদের ক্ষতির পরিমাণ অনির্ণেয়। হাসপাতালটির বাদ বাকি ল্যাবে যেসব রি-এজেন্ট আছে সেগুলোর ৫০ ভাগের মেয়াদ শেষ হবে সামনের এপ্রিল মাসে।’

সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালের অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত সুতা ও সুচের মেয়াদ আছে মাত্র সাতদিন।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ড. মেহেদী বলেন, ‘এসব সার্জিক্যাল সুচাল বা সুতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল। এটা মানুষের শরীরের সঙ্গে মিশে যায়। আর এগুলোর মেয়াদ আছে মাত্র সাতদিন। এগুলোর দ্বারা ইনফেকশন হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।’

অভিযানের সময় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বেই রাজধানী অ্যাপোলো হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছিল। তখন ল্যাবে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার এবং ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ওষুধ রাখায় দায়ে অ্যাপোলো হাসপাতাল ও ফার্মেসিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে র‌্যাবের এই ভ্রাম্যমান আদালত।