চিরনিদ্রায় শায়িত সাবেক মন্ত্রী শামসুল ইসলাম

সাবেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য এম শামসুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা চতুর্থ ও শেষ নামাজে জানাজা শেষে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার তিনশুরি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিএনপির নেতাকর্মী, স্থানীয়রা, পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনরা জানাজায় অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন। বিএনপি নেতার প্রথম জানাজা বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মৃতদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

তার দ্বিতীয় জানাজা শুক্রবার সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

জানাজার পূর্বে বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করা হয়। জানাজা শেষে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এছাড়া মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে শামসুল ইসলামের মরদেহ সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়। সেখানে তার তৃতীয় জানাজায় শরীক হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পল্টন থেকে সাবেক এ মন্ত্রীর মরদেহ মুন্সীগঞ্জে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, শামসুল ইসলাম ১৯৩২ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। বিএনপি গঠনের পর তিনি দলটিতে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে শামসুল ইসলাম ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে কমিশনার নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে নিজ এলাকা থেকে বিএনপির টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন।

১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি প্রথমে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি খাদ্য এবং তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি প্রথম ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং পরে তাকে তথ্যমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।