৩৬তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের শতভাগ নিয়োগের দাবি

৩৬তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার চাকরি প্রার্থীদের শতভাগ নিয়োগ নিশ্চিতের পর ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছে চাকরিতে সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীরা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ৩৬তম বিসিএসে নন-ক্যাডার থেকেও চাকরিতে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

নন-ক্যাডারদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অনেক পদ শূন্য থাকলেও তা পুরণ করছে না বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ পাতার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আয়োজকদের আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি ৩৬তম বিসিএসের সাথে ৩৪ ও ৩৫ তমের বৈষম্য, বিগত তিনটি বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগের উপাত্ত বিশ্লেষণ, নন-ক্যাডারদের সমস্যা, দাবি ও এ পর্যন্ত গৃহীত কর্মসূচি এবং পরবর্তী কর্মসূচি উল্লেখ করেন।

জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক চাকরিহীন যোগ্য প্রার্থীকে ১ম ও ২য় শ্রেণির ন্যূনতম যেকোনো একটি চাকরিতে সুপারিশ করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়া হোক এবং তারপর ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হোক।

কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, যদি আগামী ১০ মের মধ্যে আমাদের যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবি যদিন মানা না হয়, তাহলে পরবর্তীতে মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান, আমরণ অনশন, এমনকি যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে তারা স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ এর মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

উল্লেখ্য, ৩৬তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় ২০১৫ সালের ৩১ মে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩২৬জন। প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক এ তিনটি ধাপ শেষে ২ বছর সাড়ে ৪ মাস পর বিপিএসসির চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর।

এতে মোট ৫ হাজার ৬৩৩ জন পরিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে এবং ক্যাডার পদ স্বল্পতার জন্য ৩ হাজার ৩০৮ জনকে নন-ক্যাডার তালিকায় রাখা হয়। যার মধ্যে ২ হাজার ৭০০ জন প্রার্থী নন-ক্যাডারে চাকরির জন্য পিএসসিতে আবেদন করে।

এর মধ্যে ১৫ মার্চ ২০১৮ সালে ১ম শ্রেণিতে ২৮৪টি পদ এবং এর ৬দিন পর ২২ মার্চ ২য় শ্রেণিতে ৯৮৫টি পদে মোট ১ হাজার ২৬৯ জনকে সুপারিশ করা হয়। আর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও সুপারিশ বঞ্চিত হন ১ হাজার ৪৩১ জন। ইউএনবি।