শিল্পোন্নয়নে জাপানের কৌশল গ্রহণের পরামর্শ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে শিল্পোন্নত জাপানের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ (টিপিএম) কৌশল অনুসরণের জন্য বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছেন উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাতে সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ কৌশলের যথাযথ প্রয়োগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ পরামর্শ দেন।

জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘এ কৌশল বাংলাদেশসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হতে পারে। এর যথাযথ প্রয়োগ শিল্প কারখানায় ‘স্মার্ট প্রোডাক্টিভিটি’ বাড়াতে সক্ষম বলে তারা মন্তব্য করেন।’

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হক। এতে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এস.এম. আশরাফুজ্জামানসহ জাপান ও মালয়েশিয়ার উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. এনামুল হক বলেন, ‘ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাতে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল তৈরি ও লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগের প্রয়াস উৎপাদনশীলতা ও সেবার মান বাড়াবে। জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সবুজ শিল্পায়ন ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পৃষ্ঠপোষকতার নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হচ্ছে।’

ক্রেতা-ভোক্তাদের সন্তুষ্টি অর্জনকে আধুনিক শিল্পায়ন ও বাণিজ্যের মূল লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঁচামালের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে অল্প খরচে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য ও সেবা উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশ থেকে আগত ১৯ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং ২ জন আন্তর্জাতিক উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ চার দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন। কর্মশালায় ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প, সেবা ও কৃষিখাতের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে আলোচনা হবে। ইউএনবি।