সাংবাদিকদের ওপর হামলায় বিচার দাবি করেছে ডুজা

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। ৯ জুলাই, সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সমিতির সভাপতি আসিফ ত্বাসীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন এই নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ সকল ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ডুজার দপ্তর সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম আবির স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রোববার (৮ জুলাই) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজের ক্যাম্পাস প্রতিবেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এক ছাত্রলীগ কর্মী। অন্যদিকে ঐ সাংবাদিককে ‘জবাই করে হত্যার হুমকি’ দিয়েছে অপর এক ছাত্রলীগ নেতা। একই দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ মিছিলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পাঁচ জন সাংবাদিক আহত হন।’

কোন কোন ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নামে বিচার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার কৌশল নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডুজার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকেরাও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সকল ঘটনার বিচার করেনি। আমরা লক্ষ্য করছি, কোনো কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠনের নামে বিচার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং এর আগে একাধিক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বহিষ্কৃতদের নতুন করে পদায়ন করা হয়েছে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রত্যাশিত কাজের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।’

হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বারবার সাংবাদিকদের ওপর হামলা ছাত্র রাজনীতিতে কোনো ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করছে না। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির সৃষ্টি করতে না পারায় এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। আমরা চাই সাংবাদিকতার উপযুক্ত পরিবেশ, তথ্যের অবাধ নিশ্চয়তা এবং প্রকৃত সত্য উন্মোচন। সেজন্য সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক ঘটনাসহ ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিক নির্যাতানের সকল ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’