ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের মশাল মিছিল

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মশাল হাতে ‘আলোর মিছিল’ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। ১২ জলাই, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে, কলাভবনের নবনির্মিত ফটক, অপরাজেয় বাংলা, মধুর ক্যান্টিনের সামনের সড়ক ও শাহবাগ মোড় ঘুরে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

পরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে দ্রুত কোটা সংস্কারের দাবি ও আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জোটের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, ‌‌‘সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর যেভাবে হামলা করা হয়েছে এবং রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের ওপর যেভাবে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এই সরকার যদি এ ঘটনার বিচার না করে তবে ইতিহাস এর বিচার করবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাত্র সমাজ কখনো মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নেবে না। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায় এই নিপীড়ন কোনদিন চিরস্থায়ী হতে পারে না। আপনারা ভেবেছেন অত্যাচার নিপীড়ন করে টিকে থাকবেন, সেটা কখনো হয় নাই।’

আগামী ১৫ তারিখ কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সারাদেশের কোটা আন্দোলনকারীদেরকে জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য। আমরা তার নিন্দা জানাই। তিনি এমন এক তেলবাজ যে, আওয়ামী লীগ পর্যন্ত তার বক্তব্য প্রত্যাখান করেছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সাধারন সম্পাদক জাহিদ সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরানসহ জোটের বেশ কয়েকজন নেতা।