গুপ্তধনের খোঁজে মিরপুরে এলাহী কারবার...

গুপ্তধনের সন্ধানে রাজধানীর মিরপুরের একটি বাড়িতে প্রায় চার ফুট পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। ছয় ঘণ্টা খননকাজ চলার পরও সেখানে কোন গুপ্তধনের হদিস মেলেনি। এদিকে খনন শুরুর পর থেকেই বাড়িটি ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তির জিডির সূত্র ধরে আজ ২১ জুলাই, শনিবার মিরপুর-১০-এর সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাড়ির মাটি খননে নামে প্রশাসন। ঢাকা জেলা প্রশাসনকে জানানোর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ারুজ্জামানের উপস্থিতিতে ২০ জন শ্রমিক আজ সকাল ১০টা থেকে ওই বাড়ির মেঝে খুঁড়তে থাকে। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মিরপুর থানা-পুলিশের উপস্থিতিতে টিনশেডের ওই বাড়ির সাতটি কক্ষের মধ্যে দুটি কক্ষে শাবল, কোদাল দিয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত খনন করা হয়। কক্ষ দুটির মেঝে অন্তত চার ফুট গভীর পর্যন্ত খনন করেও কোন মূল্যবান মালামাল না পেয়ে অভিযান স্থগিত করেছে প্রশাসন।

বিকেল চারটার পর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের বলেন, ‘মজবুত কাঠামোর ওপর এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়নি। বাড়ির অবকাঠামো বেশ দুর্বল। এখানে খননকাজ করা হলে ঘরগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আজ খননকাজ বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাদন ফকির জানান, গত ১০ জুলাই আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি থানায় একটি জিডি করে জানান যে, মিরপুরের এই বাড়িতে গুপ্তধন আছে। তার ওই তথ্যের ভিত্তিতে আজ এই অভিযান চালানো হয়েছে।

এদিকে বাড়ির মালিক মনিরুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন গুপ্তধন পাওয়া গেলেও সেটার প্রতি তার কোন দাবি নেই। তার ভাষ্যনুসারে, ‘গুপ্তধন পাওয়া গেলে সরকারি কোষাগারে জমা হোক এটাই আমি চাই।’

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২০১০ সালে সেলিম রেজা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাড়িটি কিনেছেন মনিরুল আলম। বাড়িটির কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। বাড়িটি ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ভাড়াটিয়াদের চলে যাওয়ারও নোটিশ দিয়েছিলেন বলে দাবি মনিরুলের।

দুজন তত্ত্বাবধায়ক বাড়িটি দেখাশুনা করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১২ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টার দিকে দুজন লোক বাড়িটিতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁরা বাড়িতে ঢোকার জন্য কেয়ারটেকারদের আর্থিক প্রলোভনও দেখান। পরে তাঁরা জানান এই বাড়ির মাটির নিচে গুপ্তধন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি ছিলেন।’