গুগল ডুডলে সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম

দেশের প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের ৮৮তম জন্মদিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ডুডল করেছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল। শনিবার জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই গুগলের হোমপেজে এ ডুডল দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা।

ফিরোজা বেগম তার জাদুকরী কণ্ঠের মাধ্যমে মানুষের মনের গভীরে পৌঁছতে পারতেন, সেই সাথে নজরুল সংগীতকেও করেছেন জনপ্রিয়।

বাংলাদেশের প্রথিতযশা এই শিল্পী সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে নজরুল সংগীতের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা পদকও লাভ করেন তিনি।

১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণকারী শিল্পী ফিরোজা বেগম তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৪০ এর দশকে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গানে কণ্ঠ দেন।

দশ বছর বয়সে ফিরোজা বেগম কাজী নজরুলের সান্নিধ্যে আসেন এবং তার কাছ থেকে তালিম গ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালে ১২ বছর বয়সে বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি এইচএমভি থেকে ৭৮ আরপিএম ডিস্কে ইসলামী গান নিয়ে তার প্রথম রেকর্ড বের হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ফিরোজা বেগম নজরুল সংগীতের শুদ্ধ স্বরলিপি ও সুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি ৩৮০টির বেশি একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

নজরুল সংগীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজন, হামদ ও নাতসহ বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন। জীবদ্দশায় তার ১২টি এলপি, ৪টি ইপি, ৬টি সিডি ও ২০টিরও বেশি অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৫৬ সালে শিল্পী ফিরোজা বেগম বিয়ে করেন আরেক সঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার কমল দাশগুপ্তকে (বিয়ের আগে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে তার নাম হয় কামাল উদ্দিন আহমেদ)।

ফিরোজা বেগমের তিন ছেলের মধ্যে হামিম আহমেদ ও শাফিন আহমেদও দেশের জনপ্রিয় দু’জন সংগীত শিল্পী হিসেবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

চার বছর আগে ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হার্ট ও কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত এই প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর: ইউএনবি।