প্রতিটি বাড়িতে যাবে উত্তর সিটির ত্রৈমাসিক পত্রিকা

নাগরিক সেবা সহজতর করতে ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘নগরিয়া’ বিতরণ আগামীকাল থেকে শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি এলাকার প্রতিটি হোল্ডিংয়ে পৌঁছাবে নগরিয়া’র প্রথম সংখ্যা। পরবর্তী সংখ্যাগুলো ডিএনসিসির সব স্টেকহোল্ডারের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ডিএনসিসি।

রোববার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন টুয়েন্টিফোর লাইভনিউপেপারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডিএনসিসির ১২ জন প্যানেল মেয়রের উপস্থিতিতে প্রথম সংখ্যা ডাক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে উত্তর সিটি করপোরেশনের এক ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়েছে।

ডিএনসিসির এ ত্রৈমাসিক পত্রিকার স্লোগান দেয়া হয়েছে-‘সুন্দর ও বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার প্রত্যয়’। এ সংখ্যায় প্রকাশিত লেখাগুলোর মধ্যে রয়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স সম্পর্কিত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিশেষ লেখা। কীভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারিত হয়, পরিশোধের নিয়ম ও আইনগত সুবিধা কোথায় আছে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

এছাড়া ডিএনসিসির সঙ্গীত ও নৃত্য শেখার স্কুলের সেবার নিয়ম-কানুন, কবরস্থানের সেবার নিয়ম-কানুন ও যোগাযোগের নম্বর, নগর দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি, ডিএনসিসির এলাকার টিকাদান কেন্দ্র সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংবলিত লেখা, ডিএনসিসি এলাকার ডিজিটাল সেন্টার, কোথায় কোথায় ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস ও পাবলিক টয়লেট রয়েছে- এসব বিষয়ে স্বতন্ত্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

এর বাইরে চার পৃষ্ঠার রঙিন ত্রৈমাসিক এ পত্রিকায় ডিএনসিসির সম্প্রসারিত এলাকার নাগরিক সেবা কেমন হবে, সে সম্পর্কিত ধারণা সংবলিত একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন নগরিয়া’র সম্পাদনা করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিন মাস পরপর নিয়মিত প্রকাশিত হবে নগরিয়া। আর এটি বিনামূল্যে পৌঁছে যাবে নগরবাসীর দোরগোড়ায়।’

তিনি জানান, ‘প্রথম সংখ্যায় নাগরিক সেবা সংক্রান্ত তথ্য সংবলিত লেখা ছাড়াও প্রয়োজনীয় যোগাযোগের ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে, যাতে জনসাধারণ সরাসরি যোগাযোগ করে সেবা চাইতে পারেন।’ তিনি বলেন, প্রথম সংখ্যা আড়াই লাখ কপি ছাপানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডিএনসিসির ত্রৈমাসিক পত্রিকা নগরিয়া প্রকাশে আর্থিক সহযোগিতা করেছে জাপানভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা সিডস এশিয়া। এ সংস্থাটি প্রথম দুটি সংখ্যা প্রকাশে অর্থায়ন করবে। পরবর্তীতে পত্রিকা প্রকাশের যাবতীয় খরচ ডিএনসিসি বহন করবে।