সমর্থন নেই জনগণের, এরপরও কী বহাল থাকবে?

নতুন কলরেট নিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মাঝে অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। নতুন কলরেট সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করছেন তারা। সামাজিক মাধ্যমে নতুন কলরেট নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে পোষ্টও দিচ্ছেন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এটি প্রচলিত অর্থে জনমত জরিপ নয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগষ্ট থেকে দেশের সকল মোবাইল অপারেটরদের কল রেট সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা থেকে ২ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে একদিনব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরিপ পরিচালনা করে টুয়েন্টিফোর লাইভনিউজপেপার।

জরিপে, সাড়ে চার হাজার মানুষ ভোট দিয়েছেন। যেখানে ৯৫ ভাগ মামুষই মনে করছেন নতুন কলরেট যুক্তিসংগত হয়নি । কারণ হিসেবে তাদের বেশিরভাগই মনে করছেন, নতুন কলরেট ব্যয়বহুল।

তারা বলছেন, বর্তমানে পারিবারিক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক নানা কাজে মোবাইল কল সহজ যোগাযোগের মাধ্যম। নতুন কলরেট জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিবে বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে। তবে ৫ ভাগ মানুষ নতুন এই কলরেটকে সমর্থন দিয়েছেন।

মোবাইল ব্যবহারকারীরা বলছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে কলরেট কমছে, সেখানে বাংলাদেশে কলরেট বাড়নো হয়েছে। যা পুরোপুরি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া সকল অপারেটরদের ২৫ পয়সা কলরেট করা উচিত বলে মন্তব্য করছেন অনেকে।

যদিও মোবাইল অপারেটরদের দাবি, পরিবর্তিত কলরেট অনুযায়ী গ্রাহকরা সুবিধা পাবেন বেশি। আগের তুলনায় কলরেটও কমছে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, আগে যেখানে ২৫ পয়সায় কথা বলা যেত এখন তা ৪৫ পয়সা করা হয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এছাড়া নতুন কলরেটের কারণে বিদেশি মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি লাভবান হবে বলে মনে করছেন টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্টরা।