উদ্ভাবনী সূচকে তলানিতে বাংলাদেশ!

বিশ্ব মানচিত্রে থাকা দেশগুলো থেকে বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি অর্জন করলেও উদ্ভাবনশীলতা সূচকে তলানিতে বাংলাদেশ। তবে এ সূচকে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি উদ্ভাবনশীল দেশ সিঙ্গাপুর। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স-২০১৮’ এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ খাতে পিছিয়ে থাকলেও সম্প্রতি বিশ্বের ধনীদের তালিকায়, মানব উন্নয়ন সূচকে, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় এবং দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনের সূচকে বেশ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। 

প্রতিবেদনে আগামী দশকের ‘এনার্জি’ উদ্ভাবন এবং এ সংশ্লিষ্ট উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সফলতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে এবং উদ্ভাবনের অধিকাংশ সূচকেই গত বছরের তুলনায় বৈশ্বিকভাবে দুই ধাপ এগিয়েছে সিঙ্গাপুর।

অন্যদিকে উদ্ভাবন ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রকাশনা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানও উন্নত হওয়ায় এশিয়ার তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এরপরেই রয়েছে জাপানের অবস্থান।

গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তি আমদানি, প্রকাশনার গুণগত মান বৃদ্ধিতে উদ্ভাবনের এ তালিকায় এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ নাম্বারে অবস্থান করছে চীন। আর শিক্ষা, জ্ঞানের বিচ্ছুরণ, সৃজনশীল পণ্য ও সেবার কারণে চীনের পরেই অবস্থান মালয়েশিয়ার।

উদ্ভাবনের এ তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে পাশের দেশ ভারত। উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তালিকায় এশিয়ার দশম স্থানে অবস্থানে রয়েছে ব্রুনাই। তারপরেই অবস্থান করছে বাংলাদেশসহ তালিকার তলানীতে থাকা ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তান। এ তালিকায় বাংলাদেশ থেকে একধাপ এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে এই দেশগুলোতে যদি তথ্যপ্রযুক্তি, ইন্টারনেট ও বিশ্বজুড়ে জ্ঞানের প্রবাহ ক্রমবর্ধমান হারে থাকে তবে তারাও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও পাকিস্তান টেকসই উন্নয়নের দিক থেকে ৫ শতাংশ এগিয়ে যাবে। তবে ভবিষ্যতে এ দেশগুলোর পক্ষে নিজেদের সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ানোর মাধ্যমে উদ্ভাবনশক্তি বাড়ানো সম্ভব বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।