জরুরি বৈঠকে ভিকারুননিসার শিক্ষকরা

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় সৃষ্ট সংকট সমাধানে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। এ ঘটনায় গত রাতে শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাসে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষক।

বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে খুরশিদ জাহান মালা নামে ভিকারুননিসার এক শিক্ষক বলেন, ‘আমরাই শিক্ষার্থীদের মানুষ করি। কিন্তু এখন তাদের দ্বারাই লাঞ্ছিত হচ্ছি, হত্যাকারীর অপবাদ দেয়া হচ্ছে আমাদের। তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও একই আচরণ করছেন।’

এ বৈঠকে আজিমপুর, বসুন্ধরা ও ধানমণ্ডি শাখার দুই শতাধিক শিক্ষক যোগ দিয়েছেন। অন্যদেরও বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, ভিকারুন্নিসার সব শাখা মিলিয়ে প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন।

এদিকে তৃতীয় দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যহত রয়েছে। তবে আজ উপস্থিতি আগের দিনের চেয়ে কম ছিল। অভিভাবকরা বলছেন, দাবি পূরণ হওয়ায় এবার সবার ঘরে ফেরা উচিৎ। নতুন করে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট করা না হয়।

এর আগে বুধবার রাতে অরিত্রী অধিকারীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনার বুধবারই হাসনা হেনাসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করে গভর্নিং বডি। অন্য দুইজন হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আখতার।

ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে র‌্যাব ও পুলিশকে চিঠি পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আরেকটি চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বহিষ্কারসহ ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ওই তিন শিক্ষকের বেতনভাতা বন্ধের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে শিক্ষকদের তিরস্কারের শিকার হয়ে সোমবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী তাদের রাজধানীর শান্তিনগরের বাসায় আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিকারুননিসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রাস্তায় নেমে আসেন।